Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • লর্ডসের প্রতি টুকরো ঘাস বিক্রি হচ্ছে আট হাজার টাকা...

লর্ডসের প্রতি টুকরো ঘাস বিক্রি হচ্ছে আট হাজার টাকায়

মানবজমিন

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

‘হোম অব ক্রিকেট’খ্যাত ঐতিহাসিক মাঠের নাম লর্ডস। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ১৮১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত লর্ডস অনেক কারণেই বিখ্যাত। ২০০৫ সালের আগে পর্যন্ত এ মাঠেই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সদর দপ্তর। একসময় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছিল এমসিসি (মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব)। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো ক্রীড়া জাদুঘরগুলোর অবস্থানও এ লর্ডসেই। তাই নানা কারণে এ মাঠ আলোচনায় ওঠে আসে। এবার সেই মাঠের ঘাস বিক্রি হচ্ছে। কিনতে পারবেন যে কেউই। ১.২ মিটার বাই ০.৬ মিটার আকৃতির এক টুকরা ঘাসের দাম পড়বে ৫০ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজারের বেশি। আগামী মাসেই ঘাস তোলা হবে।

এই লর্ডসের ক্রিকেট মাঠে ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি করলে নাম ওঠে মর্যাদাকর ‘অনার্স বোর্ডে’। কিছুদিন আগেই লর্ডসে ‘অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার ট্রফির ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ড এবং ভারত। বর্তমানে চলছে দ্য হানড্রেডের ম্যাচ। যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, লর্ডস ক্রিকেট মাঠের আউটফিল্ডের ঘাস নতুন করে লাগানো হবে। আর তুলে ফেলা ঘাসগুলো কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমসিসি। প্রাথমিকভাবে এমসিসি সদস্যদের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এমসিসি ফাউন্ডেশনের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং মাঠের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সহায়তা করতে আমরা সব সদস্যকে লর্ডসের ঘাসের একটি টুকরার মালিক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছি।’ এমসিসির বর্তমান সদস্যসংখ্যা ২৫ হাজার।

তবে সাধারণ দর্শকও চাইলে লর্ডসের সবুজ ঘাসের এক টুকরো কিনতে পারবেন। বিক্রিত মোট অর্থের ১০ শতাংশ যাবে এমসিসি ফাউন্ডেশনে। বাকি অর্থ মাঠে ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

টেলিগ্রাফ জানায়, সেপ্টেম্বর আউটফিল্ডের মাঠ খোঁড়া হবে তবে ২০টি পিচের মধ্যে মূল স্কয়ারটি অক্ষত রাখা হবে। উপরিভাগের ১৫ মিলিমিটার ঘাস কেটে ফেলা হবে। পরবর্তীতে নতুন বীজ বপন করে পুরোপুরি নতুন একটি ঘাসের স্তর তৈরি করা হবে। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে আউটফিল্ডে ফিল্ডারদের ডাইভের সঙ্গে ঘাস ওঠার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে লর্ডসের আউটফিল্ড সর্বশেষ পুনর্র্নিমাণ করা হয় ২০০২ সালে। তখন লক্ষ্য ছিল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করা। সেবারও ঘাস টুকরা টুকরা নিলামে তোলা হয়েছিল। প্রতিটি টুকরো ১০ পাউন্ড করে মোট দাম উঠেছিল ৩৫ হাজার।

আরও পড়ুন

Lading . . .