প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম সফল ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। অভিষেকের পর থেকেই দাপট দেখিয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। তবে মাঠের বাইরের চিত্র এখন অনেকটাই ভিন্ন। সাবেক দুই বিদেশি—রোমানিয়ান কোচ ভ্যালেরি তিতে ও ফরাসি ফিটনেস ট্রেইনার খলিল চাকরৌন—অর্থ না পাওয়াফিয় ক্লাবটির বিরুদ্ধে ফিফায় অভিযোগ করেছেন।
ফ্রান্সের ট্রেইনার খলিল বর্তমানে ওমানে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে জানান, ‘গত পরশু আমি ফিফায় অভিযোগ করেছি। তারা অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বেতন, দুটি ট্রফি (ফেডারেশন কাপ ও চ্যালেঞ্জ কাপ) জয়ের বোনাস, এবং বিলম্বে বেতন পরিশোধের জরিমানাসহ মোটা অঙ্কের টাকা তার প্রাপ্য। একই অভিযোগ রোমানিয়ান কোচ তিতেরও।
খলিল বলেন, ‘ঢাকা ছাড়ার সময় ক্লাব ম্যানেজার ওয়াসিম আমাদের বলেছিলেন দ্রুত অর্থ পরিশোধ করা হবে। আমরা সমঝোতার পথ খুঁজছিলাম। কিন্তু সময় চলে যাওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা ফিফার শরণাপন্ন হয়েছি।’
খেলোয়াড়-কোচদের বকেয়া সংক্রান্ত অভিযোগে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, সঠিক প্রমাণ থাকলে ক্লাবকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্থ পরিশোধে বাধ্য করা হয়। যদি ক্লাব ব্যর্থ হয়, তাহলে ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা, আর্থিক জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে।
২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করা বসুন্ধরা কিংস অল্প সময়েই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বাংলাদেশের ফুটবলে একচ্ছত্র শক্তি হিসেবে। এএফসি কাপে অংশগ্রহণসহ নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্লাবটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক চাপ এবং চুক্তি পূরণে ব্যর্থতা তাদের ভাবমূর্তিতে কালো ছায়া ফেলেছে।
৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাবটি কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি বলে জানা গেছে। সাবেক কোচ ও ট্রেইনারের অভিযোগ নিয়ে ক্লাব ম্যানেজার ওয়াসিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
শুধু বসুন্ধরা কিংস নয়, লিগের অন্য ক্লাবও বকেয়া সমস্যায় জর্জরিত। ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব এক উজবেক খেলোয়াড়ের প্রাপ্য অর্থ না দেওয়ায় ইতোমধ্যেই ফিফার ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। বাফুফে ৮ আগস্টের মধ্যে পাওনা পরিশোধে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। না হলে আসন্ন দলবদলে অংশগ্রহণই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে ক্লাবটির জন্য।