Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • ম্যাচসেরার পুরস্কারে আলু, পনির, মুরগি! ডেনিশ লিগে ...

ম্যাচসেরার পুরস্কারে আলু, পনির, মুরগি! ডেনিশ লিগে নতুন রীতির ঝলক

কালবেলা

প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

সেই আলুর সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাক্সিম সুলিয়া। ছবি : সংগৃহীত
সেই আলুর সামনে দাঁড়িয়ে ম্যাক্সিম সুলিয়া। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ফুটবলে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়দের হাতে যখন উঠে আসে দামী ট্রফি, ঘড়ি কিংবা স্পন্সরের চকচকে পুরস্কার, তখন ডেনমার্ক দেখিয়ে দিচ্ছে অন্যরকম এক পথ। ডেনিশ সুপারলিগার ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়রা পাচ্ছেন আলু, পনির, হ্যাম, বিয়ার—এমনকি একগাদা তাজা সবজি!

সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি—'সেন্ডারইউস্কে' ক্লাবের ডিফেন্ডার ম্যাক্সিম সুলিয়া পেয়েছেন পুরো ৫৫ কেজি আলু, শুধু ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে!

৫৫ কেজি আলু! কেবল উপহার নয়, এক বার্তাও

ম্যাক্সিম সুলিয়া গত সপ্তাহে 'নরডশেলান্দ'-এর বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। শেষ মিনিটে তাঁর দলের জয়সূচক গোলের পর তাঁকেই ঘোষণা করা হয় ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’। আর পুরস্কার? এক ঠেলাগাড়ি ভর্তি ৫৫ কেজি তাজা ডেনিশ আলু!

ক্লাবের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চমকে যান ফুটবলপ্রেমীরা। কেউ হেসে ফেলেছেন, কেউ আবার বলছেন—"এটাই তো আসল লোকাল প্রাইজ!"

ডেনমার্কের অনেক ক্লাব স্থানীয় কৃষিপণ্যকে সামনে আনতে শুরু করেছে। মিড্টইল্যান্ড দিয়েছে আলু, সিল্কেবোর্গ দিয়েছে চিজ, আবার কিছু ক্লাব দিয়েছে বিয়ার ও হ্যাম। এই উদ্যোগ একদিকে যেমন স্থানীয় কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, অন্যদিকে কমিউনিটি ফুটবলের প্রতি ক্লাবগুলোর দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে।

ম্যাক্সিম সুলিয়া আলু হাতে হাসছেন, দর্শকরাও উচ্ছ্বসিত। ফুটবল এখন শুধু স্কোরবোর্ডের খেলা নয়, এটি হয়ে উঠছে একটি সাংস্কৃতিক উৎসব। আলু যেন হয়ে উঠেছে সাধারণ দর্শক এর প্রতীক—চকচকে ট্রফি নয়, বরং এমন কিছু যা খাওয়া যায়, ভাগ করে নেওয়া যায়, আর মনে রাখা যায়।

অনেক সমর্থক মজা করে বলছেন—এই আলু দিয়ে তো গোটা স্কোয়াডের রাতের খাবার হয়ে যাবে! আবার অনেকে চান এই ধরনের ব্যতিক্রমী পুরস্কার যেন ভবিষ্যতেও চালু থাকে। কেউ কেউ চাইছেন “পটেটো অফ দ্য সিজন” পুরস্কারও!

ডেনিশ সুপারলিগা দেখিয়ে দিচ্ছে, ফুটবল কেবল মাঠের খেলা নয়—এটি হাসির, গল্পের, আর কমিউনিটির। এক বস্তা আলু হয়তো মেসির হাতে কখনও উঠবে না, কিন্তু ইউরোপের ফুটবলভক্তরা জানে—সেই আলুতেই লুকিয়ে আছে ফুটবলের আসল স্বাদ।

Lading . . .