উত্থান-পতনের ইতালিয়ান ডার্বি পরিণত হলো ‘থুরাম ডার্বি’তে
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ শিরোপাজয়ী দলের সদস্য লিলিয়ান থুরাম। তার দুই ছেলে কিফহেন থুরাম খেলছেন জুভেন্টাসের হয়ে ও মার্কাস থুরাম ইন্টার মিলানের। দু’জনেরই অভিষেক হয়েছে ফ্রান্স জাতীয় দলে। শনিবার ইতালিয়ান ডার্বিতে গোল করেছেন দু’জনই। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে দর্শকরা ম্যাচটির নাম দিয়েছে ‘থুরাম ডার্বি’। রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে দুই দফায় পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে আশা জাগায় ইন্টার, তবে নাটকীয়তা বাকি তখনও। যোগ করা সময়ের জয়সূচক গোল উল্লাসে মাতে ওল্ড লেডিরা।
ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত দু’টি গোল হয় ৭৬ ও ৮২তম মিনিটে। ২-২ গোলে ম্যাচ তখন সমতায়। মার্কাস থুরামের হেডে এগিয়ে যায় ইন্টার। অনেকটা একই ধাঁচের গোলে মিনিট ছয়েকের মধ্যে জুভেন্টাসকে সমতা এনে দেন মার্কাসের চার বছরের ছোট ভাই কিফহেন থুরাম। মনে হচ্ছিল, ড্র দিয়েই ম্যাচটি শেষ হবে। যোগ করা প্রথম মিনিটে আবার দৃশ্যপটে পরিবর্তন, ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভাসিলিয়ে আজিচ। ঘরের মাঠ তুরিনে এর আগে ৭৩তম মিনিটে বদলি হয়ে নামেন। মন্টেনেগ্রোর এই ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের প্রশংসায় জুভেন্টাস কোচ ইগর টুডোর বলেন, ‘গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে আমরা ওর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি, কারণ আমরা ওর যোগ্যতার প্রতি আস্থাশীল। ওর কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করছিলাম, যেগুলো আমাদের পছন্দ হয়নি।
আর সেগুলোকে ও ঠিকঠাকভাবে গ্রহণ করেছে। পুরো সপ্তাহ ধরে আমরা দেখেছি, সে ভালো অবস্থায় ছিল, তাই আমরা ওকে মাঠে নামানোর পরিকল্পনা করি। দুর্দান্ত এ ম্যাচ নিয়ে ওল্ড লেডি বস বলেন, ‘এটি উন্মাদনায় ভরা একটি ম্যাচ ছিল। গোলের বন্যা, উত্থান-পতন, আর শেষ পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এত বড়, দুর্দান্ত দলকে হারাতে পেরেছি।’
পুরো ম্যাচে লড়াইটা সেয়ানে-সেয়ানে হলেও, কিছুটা এগিয়ে থাকে ইন্টারই। সফরকারীরা ৫৯ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখে গোলের দিকে ১৮টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে রাখে স্রেফ ৪টি। ১২টি শট নেয়া জুভেন্টাসও লক্ষ্যে রাখতে পারে ৪টি শট। ম্যাচের চতুর্দশ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে হাফ ভলির গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন লয়ড কেলি।
৩০তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো শটে ইন্টারকে সমতায় ফেরান হাকান কালহানোগলু। মিনিট আটেকের মধ্যে কেনান ইলদিজের গোলে দের এগিয়ে যায় জুভে। ডান পায়ের বুলেট গতির শটে বল জালে জড়ান এ এ জার্মান ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে আর গোলে দেখা মেলেনি। বিরতির পর মাঠে ফিরে ৬৫তম মিনিটে আরেকটি দৃষ্টিনন্দন গোলে স্কোরলাইন ২-২ করেন কালহানোগলু। এরপরই দেখা যায় থুরাম ব্রাদার্স-এর লড়াই।
আরও পড়ুন