Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • ভারতে কি মুসলিম ক্রিকেটাররা বেশি ট্রলের শিকার হন, ...

ভারতে কি মুসলিম ক্রিকেটাররা বেশি ট্রলের শিকার হন, উত্তর দিলেন শামি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামিশামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল
ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামিশামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

মোহাম্মদ শামি ভারতের অন্যতম সেরা পেসার। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই পেসার উইকেট নিয়েছিলেন ২৪টি, যা সেই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিয়েছিলেন ৭ উইকেটও।

মাঠে দারুণ পারফর্ম করলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সময় ট্রলের মুখোমুখি হতে হয়েছে শামিকে। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে পারফর্ম করতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক ও দেশদ্রোহী’ও বলেছিলেন।

সেই ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরে যায় ভারত। শামি ৩.৫ ওভার বোলিং করে রান দেন ৪৩। পারফরম্যান্সের সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকেই তখন ক্রিকেটের বাইরের বিষয়গুলোও টেনে আনেন।

ভারতের মুসলিম ক্রিকেটাররা কি বেশি ট্রলের শিকার হন, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ প্রশ্ন শামিকে করা হয়েছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ২৪–এ শামি এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ট্রল নিয়ে আমি ভাবি না। আমি কোনো মেশিন নই। সারা বছর পরিশ্রম করি, কখনো সফল হব, কখনো ব্যর্থ হব। মানুষ কীভাবে বিষয়টি নেবে, এটা তাদের বিষয়।’

শামি আরও বলেছেন, ‘দেশের হয়ে খেলতে নামলে এসব কিছুই মনে থাকে না। তখন উইকেট নেওয়া আর ম্যাচ জেতাই সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেতে চাই না। কারণ, সেখানে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের মন্তব্যই চোখে পড়ে। যখন আপনি খেলবেন, এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো। আমরা সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করি। ট্রল যারা করে, তাদের শুধু দুই লাইন লিখতে হয়। সত্যিকারের ভক্তরা এসব কখনো করবেন না। যদি আপত্তি থাকে, সম্মানের সঙ্গে বলুন। যদি মনে করেন আমার চেয়ে ভালো করতে পারবেন, তবে চলে আসুন, চেষ্টা করে দেখুন। সুযোগ সব সময়ই আছে।’

২০২৩ বিশ্বকাপের চোটের কারণে ১৪ মাস মাঠের বাইের ছিলেন শামি। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। ফিটনেস ইস্যুতে বাদ পড়েছেন অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি থেকে।

এর মধ্যে কিছুদিন ধরে শামির অবসরের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। শামি অবশ্য বলছেন, অবসর নয়, তিনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। শামি বলেছেন, ‘যদি কারও কোনো সমস্যা থাকে, বলুক। আমি অবসর নিলে যদি তাদের জীবন সত্যিই ভালো হয়ে যায়, তবে বলুক। বলেন তো আমি কাদের জীবনে পাথর হয়ে গেছি যে তারা চায় আমি অবসর নিই?’

শামি যোগ করেছেন, ‘যেদিন বিরক্ত লাগবে, সেদিন আমি চলে যাব। আপনি আমাকে জাতীয় দলে না নিলেও আমি কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাব। আন্তর্জাতিক দলে সুযোগ না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলব। কোথাও না কোথাও আমি খেলা চালিয়ে যাব। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত তখন, যখন আপনি বিরক্ত বা ক্লান্ত বোধ করেন। আমার জন্য এখন সেই সময় নয়।’

Lading . . .