প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। ফাইনালে পাত্তাই পায়নি আফগানরা, দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের স্পিনারদের সামনে। হ্যাটট্রিক করেছেন নাওয়াজ, সুফিয়ান মুকিম-আবরারও ছিলেন বিধ্বংসী।
অথচ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সহজ লক্ষ্যই পেয়েছিল আফগানরা। আগে ব্যাট করা পাকিস্তানকে থামিয়ে দেয় ৮ উইকেটে ১৪১ রানেই। যা তাড়া করতে নেমে ১৫.৫ ওভারে গুটিয়ে গেছে আফগানিস্তান।
রোববার শারজায় পাকিস্তানের জয় ৭৫ রানে। পাকিস্তানের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ নেওয়াজ। ব্যাট হাতে ২১ বলে ২৫ রান করার পর বল হাতে ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি, পথে করেছেন দারুণ এক হ্যাটট্রিকও।
৬৬— আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৬ রান হলো তাদের সর্বনিম্ন ইনিংস।
বোলিংয়ে পাকিস্তানের সুর বেঁধে দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্রথম ওভারে রাহমানউল্লাহ গুরবাজকে (৫) বিদায় করে দেন তিনি। পরের ৯ উইকেটের সবকটি নেন স্পিনাররা। সাদিকুল্লাহকে (১৩) ফেরান আবরার।
অন্যদিকে ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে দরবেশ রাসুলি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে শূন্য রানে ফেরানো নাওয়াজ হ্যাটট্রিক উইকেটটি পান অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ইবরাহিম জাদরানকে (৯) ফিরিয়ে।
পাকিস্তানের হয়ে নাওয়াজের আগে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন ২০১৭ সালে ফাহিম আশরাফ ও ২০১৯ সালে মোহাম্মদ হাসনাইন। তৃতীয় পাকিস্তানি হিসেবে রোববার হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন নাওয়াজ।
এদিকে ৮ম ওভারে কোনো রান না দিয়ে কারিম জানাতের উইকেটও নেন নাওয়াজ। তার বোলিং ফিগার তখন ২-১-১-৪! আর নিজের শেষ ওভারে রাশিদ খানকে আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাওয়াজ।
মাঝে মোহাম্মদ নাবিকে (৩) ফেরান আবরার। আর শেষ দুই উইকেট তুলে নেন সুফিয়ান মুকিম।
অবশ্য পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ভালো ছিল না। ম্যাচের তৃতীয় বলে শূন্য রানে বিদায় নেন সাহিবজাদা ফারহান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রান তুলে দলকে এগিয়ে নেন সাইম আইয়ুব ও ফখর জামান।
কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর ধস নামে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে। ১ উইকেটে ৪৯ থেকে তাদের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৭২। সাইম ১৯ বলে করেন ১৭ রান, ফাখার ২৬ বলে ২৭।
হাসান নাওয়াজ ও মোহাম্মদ হারিসের দ্রুত বিদায়ের পর সালমানের ২৭ বলে ২৪, মোহাম্মদ নাওয়াজের ২১ বলে ২৫ ও ফাহিম আশরাফের ৮ বলে ১৫ রানের সৌজন্যে ১৪১ পর্যন্ত যেতে পারে পাকিস্তান।
সেই পুঁজিই যথেষ্ট হলো জয়ের জন্য। আফগান অধিনায়ক রশিদ খান ৩৮ রানে নেন ৩ উইকেট নিলেও তা কার্যকর হয়নি।
উল্লেখ, এশিয়া কাপকে সামনে রেখে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। যেখানে চার ম্যাচের চারটিতে হেরে ফাইনাল থেকে ছিটকে যায় আরব আমিরাত।
তবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সমান তিনটা করে জয় নিয়ে উঠে আসে ফাইনালে। লিগ পর্বের দেখায় দুই দল একবার করে হারায় একে-অপরকে। তবে ফাইনালে এসে শেষ হাসি পাকিস্তানেরই।
আরও পড়ুন