ইসাকের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

এবার আর ভুল করল না ইংল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় এড়ালো টাইগার বোলারদের চোখ রাঙানি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেসেখেলেই জিতলো থ্রি লায়ন্সরা। সিরিজে ফিরল ১-১ সমতা। জয়ের নায়ক ইসাক মোহাম্মদ।
আগের ম্যাচেও ধসের মুখে দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন ইসাক, তবে জেতাতে পারেননি দলকে। তবে এবার হাল ছাড়লেন না, সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোববার টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৭২ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৩.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরুর আভাস দেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত। তবে ৩১ রানেই ভাঙে জুটি, ১০ রানে ফেরেন জাওয়াদ। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ একট জুটি গড়ে তোলেন রিফাত ও তামিম।
ছন্দে থাকা রিফাত হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশের রান ১০০ ছুঁতেই। তবে এরপর টিকতে পারেননি তিনি, ৫২ বলে ৫১ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরেন ৪৪ বলে ৪১ করে।
আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা কালাম সিদ্দিকী দ্রুতই ফিরেছেন। পরে রিজান ও আব্দুল্লাহ মিলে জুটি গড়ে তোলেন। বাংলাদেশের রান ২০০ হওয়ার আগেই তাদের জুটি ভাঙে,আব্দুল্লাহ আউট হয়েছেন ১৭ রান করে।
তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন রিজান। তবে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া রিজান থেমেছেন ৫৭ রানে। শেষের দিকে ফাহাদের অপরাজিত ২৫ রানের সুবাদে ৪৭ ওভারে ২৭২ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইসাক ও জো মুরসের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন মুরস। দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার।
৪৭ রানের ইনিংস খেলা মুরসকে ফিরিয়ে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আল আমিন। দ্বিতীয় উইকেটে বেন মাইসকে সাথে নিয়ে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইসাক। পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও।
এক শ’ পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের জুটি ভাঙেন সামিউন বশির। ৩০ রান করা মাইসকে ফেরান তিনি। পরে দলকে টেনেছেন ইসাক। অন্যপ্রান্তে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইসাক।
যদিও ১০০ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৯৫ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষের দিকে ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন জ্যাক নেলসন।
বাংলাদেশের হয়ে সামিউন বশির তিনটি ও ফাহাদ, আল আমিন ও ফারান শাহরিয়ার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।