Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • ৩১ বছর বয়সেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিলেন উমতিতি

৩১ বছর বয়সেই ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিলেন উমতিতি

মানবজমিন

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

স্যামুয়েল উমিতিতিকে এক সময়ে ইউরোপের অন্যতম সেরা সেন্টার ব্যাক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে সম্প্রতি একের পর চোটে মাঠে নামাটাই দায় হয়ে দাড়াচ্ছিল ফ্রান্সের এ বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারের জন্য। শেষ মৌসুমে স্বদেশি ক্লাব লিল ছাড়ার পর খুঁজছিলেন নতুন ক্লাব। চোটপ্রবণতার জন্যই হয়তো কোনো ঠিকানা খুঁজে পাননি। তাই তো স্রেফ ৩১ বছর বয়সে বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উমতিতি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমবার এক আবেঘঘন বার্তায় বিদায়ের কথা জানান বার্সেলোনার এ সাবেক তারকা। ইনস্টাগ্রামে উমতিতি বলেন, ‘চড়াই-উতরাইয়ে ভরা দুর্দান্ত একটি পেশাদার জীবনের পর, এবার বিদায় জানানোর সময় এসে গেছে... আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে খেলেছি, ভালোবাসা দিয়েছি, এবং কোনো আফসোস নেই।’ নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের ক্লাব ও তাদের ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উমতিতি বলেন, ‘সেই সব ক্লাব, সভাপতি, কোচ এবং খেলোয়াড়দের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের সঙ্গে আমি পথ চলেছি। ধন্যবাদ, লিঁও। ধন্যবাদ, বার্সেলোনা। ধন্যবাদ, লিল। ধন্যবাদ, লেচে। ধন্যবাদ, ফ্রান্স। আর ধন্যবাদ সকল সমর্থকদের, তোমাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য।’

ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়েই লাইমলাইটে আসেন উমতিতি। ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে কাতালান ক্লাবটিতেই ৭ বছর কাটান তিনি। ২০১৬তে অলিম্পিক লিওন থেকে বার্সায় পাড়ি জমান উমতিতি। সেখানে দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের সঙ্গে চোট এবং অফফর্মও ছিল তার সঙ্গী। ২০২২-এ বার্সার সঙ্গে চার বছরের চুক্তি নবায়ন করার পর এক বছরের জন্য ধারে চলে যান লেচেতে। এরপর বার্সায় ফিরলেও, চুক্তির তিন বছর বাকি থাকতেই ক্লাব ছাড়তে হয় তাকে। সেখান থেকে লিলে যোগ দিলেও শেষ দুই মৌসুমে বেশিরভাগ সময়ই থাকেন মাঠের বাইরে। গত মৌসুমে তো ফরাসি লীগে এক ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি উমতিতি। এভাবেই শেষ হলো তার মাঠের সঙ্গের সম্পর্ক।

বার্সার হয়ে ১৩৩ ম্যাচ খেলা উমতিতি স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে জেতেন দু’টি লা লিগা, তিনটি কোপা দেল রে ও দু’টি স্প্যানিশ সুপার কাপ। জাতীয় দলের হয়ে উমতিতি খেলেন ৩১টি ম্যাচ। তার ফুটবল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় শিরোপাটি ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ। সেবার ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন উমতিতি। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে তার গোলেই জয় তুলে নেয় ফ্রান্স।

আরও পড়ুন

Lading . . .