প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

লা লিগায় বার্সেলোনা মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলেছে গতকাল রাতে মায়োর্কার মাঠে। আগামী শনিবার পরের ম্যাচ লেভান্তের মাঠে। এরপর ৩১ আগস্ট যে ম্যাচ, সেটি রায়ো ভায়েকানোর মাঠে। সাধারণত এমনটা দেখা না গেলেও লা লিগায় এবার নিজেদের প্রথম তিনটি ম্যাচই প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে যাচ্ছে বার্সেলোনা।
স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের এমন পরের মাঠে ‘ঘুরে বেড়ানোর’ কারণ নিজেদের মাঠ–সংকট। দুই বছর পর এবার সংস্কারকৃত ক্যাম্প ন্যুতে ‘হোম’ ম্যাচ খেলার কথা বার্সার। কিন্তু নতুন মৌসুম শুরু হয়ে গেলেও এখনো সেখানে খেলার ব্যবস্থা করা যায়নি।
সেপ্টেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির পরও ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচ শুরু করা যাবে কি না, সেটা নিয়েও আছে শঙ্কা। এর মধ্যে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা বেঁধে দিয়েছে সময়সীমা—২৮ আগস্টের মধ্যে জানাতে হবে, কবে ক্যাম্প ন্যুতে খেলা শুরু করা যাবে।
নির্মাণকাজের কারণে ২০২৩ সাল থেকে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে টানা দুই মৌসুম অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে খেলেছে বার্সেলোনা। ক্লাব কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ছিল, ২০২৪ সালের নভেম্বরে ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা। কিন্তু সেবার তো নয়ই, পরে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মে মাসের লক্ষ্যও পূরণ হয়নি।
সর্বশেষ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ভাগ। লা লিগা কর্তৃপক্ষ বার্সাকে প্রথম তিন ম্যাচ (মায়োর্কা, লেভান্তে, রায়ো ভায়েকানো) অ্যাওয়েতে খেলার অনুমতিও দিয়েছে যেন সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতির পর সরাসরি ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা যায়।
তবে বাস্তবতা এখনো জটিল। গত সপ্তাহে হোয়ান গ্যাম্পার ট্রফির ম্যাচ বার্সেলোনার সিটি কাউন্সিলের অনুমোদন না মেলায় ক্যাম্প ন্যুতে আয়োজন সম্ভব হয়নি। ম্যাচটি সরাতে হয়েছে ছোট মাঠ এস্তাদি ইয়োহান ক্রুইফে।
এখন ক্লাব কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, আপাতত গ্যালারির গোল সুদ (দক্ষিণ দিকের গোলপোস্টের পেছনের গ্যালারি) এবং ত্রিবিউনা (ভিআইপি ও বিশেষ টিকিটধারীদের গ্যালারি) অংশের কাজ শেষ করে ৩০ হাজার দর্শকের আসন প্রস্তুত করা। এরপর ধাপে ধাপে ৪৫ হাজারে উন্নীত করে চ্যাম্পিয়নস লিগ আয়োজনের অনুমোদন চাইবে তারা। ২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্য ৬০ হাজার আসন প্রস্তুত করা।
কিন্তু সমস্যা হলো, উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের চারটি ‘হোম’ ম্যাচই একই ভেন্যুতে খেলতে হবে। ফলে ২৮ আগস্টের মধ্যে যদি বার্সা নিশ্চিতভাবে জানাতে না পারে, তাহলে পুরো গ্রুপ পর্বই খেলতে হবে ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে। মাত্র ছয় হাজার আসনের এই মাঠে খেলা হলে রাজস্বে বড় ধাক্কা খাবে বার্সেলোনা, যা ক্লাবের আর্থিক সংকট আরও বাড়াবে।
তাই একদিকে শহর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন, অন্যদিকে উয়েফার সময়সীমা—দুটি চাপ সামলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্প ন্যুতে ফেরা নিশ্চিত করতে হবে বার্সেলোনাকে। এখন দেখার বিষয়, সময়মতো অনুমোদন মেলে কি না।
আরও পড়ুন