প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন ব্যবহার ছাড়া যেন এক মুহূর্তও চলে না। তবে অনেক সময় দেখা যায়, ফোনটি হঠাৎ করে হ্যাং করে যাচ্ছে, স্ক্রিন কাজ করছে না, কিংবা কোনও অ্যাপ ওপেন হচ্ছে না। এতে যেমন বিরক্তি তৈরি হয়, তেমনি জরুরি মুহূর্তে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোন হ্যাং হওয়ার পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ—যার কিছু সহজে সমাধানযোগ্য, আবার কিছু ক্ষেত্রে নিতে হয় বাড়তি সতর্কতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেন ফোন হ্যাং হয় এবং এর সমাধান কী হতে পারে।
মোবাইল কেন হ্যাং করে:
অতিরিক্ত অ্যাপ ইন্সটল করে রাখলে। র্যাম (RAM) কম হলে। ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে। বাগযুক্ত বা পুরনো ভার্সনের অ্যাপ ব্যবহারে। অপ্টিমাইজ না করা অপারেটিং সিস্টেম।কম ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর ও হার্ডওয়্যারের ফোনে ভারী অ্যাপ বা গেম চালালে। ভুয়া বা নিম্নমানের চার্জার ব্যবহার করলে। সফটওয়্যার আপডেট না রাখলে
মোবাইল হ্যাং হলে করণীয়:
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন (ব্যবহার না করা অ্যাপগুলো ডিলিট করে ফোন হালকা করুন)। ফোনের ক্যাশ মেমোরি ক্লিয়ার করুন (সেটিংসে গিয়ে “Storage” অপশনে গিয়ে ক্যাশ ডেটা মুছে ফেলুন)। ফোন রিস্টার্ট করুন (মাঝে মাঝে ফোন বন্ধ করে আবার চালু দিলে অনেক সমস্যা ঠিক হয়ে যায়)। সফটওয়্যার আপডেট করুন (ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপগুলো আপডেট রাখুন)। স্টোরেজে পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন (অন্তত ২০–২৫% খালি রাখলে ফোন ভালো পারফর্ম করে)। লাইভ ওয়ালপেপার, অ্যানিমেশন কম ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে ফোন বিশ্রাম দিন।
মোবাইলে যা করা উচিত নয়:
একসাথে অনেক অ্যাপ ওপেন করে রাখা। ভারী গেম বা ভিডিও এডিটিং অ্যাপ চালানো কম শক্তির ফোনে। স্টোরেজ বা র্যাম পূর্ণ থাকলে আর অ্যাপ ইন্সটল করা। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ পারমিশন অন করে রাখা
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, “নিম্নমানের অ্যাপ ও অতিরিক্ত চাপ ফোনের পারফরম্যান্স কমিয়ে দেয়। নিয়মিত পরিচর্যা ও অপ্টিমাইজেশন করলে ফোন সহজে হ্যাং করে না।”
তারা আরও বলেন, বারবার হ্যাং করলে ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হতে পারে। তবে রিসেটের আগে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে রাখা উচিত। তবে ফোন হ্যাং হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয়, তবে সচেতন ব্যবহারই হতে পারে এর সেরা প্রতিরোধ।
জেএইচআর