Advertisement

পাঁচ বছরের মধ্যেই বিলুপ্ত হবে স্মার্টফোন!

জনকণ্ঠ

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মোবাইল ফোন খুঁজে পাচ্ছেন না, কারণ সেই স্মার্টফোন হয়তো আপনার জীবনের অংশই থাকবে না খুব শীঘ্রই — বিজ্ঞানীরা বলছেন মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে স্মার্টফোনের যুগ শেষ হয়ে যেতে পারে। আমরা আজ স্মার্টফোনে এমন ডুবে আছি, যেন মায়ের কোল ছেড়ে বের হতে নারাজ এক শিশু, কিন্তু প্রযুক্তির ইতিহাস স্পষ্ট বলে একদিন আধিপত্য শাসন করে পরের দিনই প্রযুক্তি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।

যেমন একসময় টেলিফোনের জায়গা নিয়েছিল মোবাইল ফোন, ঠিক তেমনি মোবাইল ফোনের আধুনিক রূপ স্মার্টফোনও অদূর ভবিষ্যতে অতীতের গল্প হয়ে যেতে পারে। কারণ টেকনোলজি জগতে এক নতুন ডিভাইস আসছে, যার নাম এআই পিন। এটি একটি ছোট্ট পিন আকৃতির ডিভাইস, যা স্মার্টফোনের সমস্ত ফিচারকে ছাপিয়ে যাবে।

এই ডিভাইসটির কোনো ডিসপ্লে বা টাচপ্যাড নেই, তবে সেন্সর ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে আপনার হাতের তালু হয়ে উঠবে নতুন স্ক্রিন। ইনকামিং কল, মেসেজ, ইমেইল—সব কিছু ভেসে উঠবে আপনার হাতেই। আপনি যা বলবেন বা ইঙ্গিত দেবেন, এআই পিন তা বুঝে কাজ করবে। এর পেছনে রয়েছেন দুই সাবেক অপেল ইঞ্জিনিয়ার ইমরান চৌধুরী ও বেথালী বেঙ্গিনো, যাদের স্টার্টআপ হিউম্যান এআই বলছে, এটি শুধুমাত্র স্মার্টফোনের বিকল্প নয়, এটি হচ্ছে ভবিষ্যতের মানব-যন্ত্র সংযোগ।

এআই পিন আপনার কণ্ঠস্বর চিনে নেয়, শরীরের সঙ্গে সবসময় লেগে থাকার কারণে আপনার অভ্যাস বুঝে ফেলে, মিটিংয়ের সময়সূচী মনে করায়, রেস্টুরেন্টে আপনার পছন্দের খাবার সাজেস্ট করে, এমনকি আপনার রুটিন ও মুড অনুযায়ী নিজেই কাজ সম্পন্ন করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটাই আসল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

টেক জগতে ইতিমধ্যেই এই এআই পিন সাড়া ফেলেছে। অ্যাপল, মেটা, আমাজনসহ বড় বড় কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নামতে প্রস্তুত, কারণ হাতেই যদি ভেসে ওঠে স্ক্রিন, তাহলে আর মোবাইল ফোন কেন?

তবে একটি বড় প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—এই ডিভাইসটি কতটা নিরাপদ? ব্যক্তিগত তথ্য, কণ্ঠস্বর, মুডের ডাটা সবই কি রেকর্ড হচ্ছে? এবং দাম কত হবে? হিউম্যান এআই এখনো এইসব বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। তবে তারা আশা করছে, এআই পিন ভবিষ্যতের ডিফল্ট ডিভাইস হয়ে উঠবে।

স্মার্টফোন আপনার সবচেয়ে প্রিয় গ্যাজেট ছিল, কিন্তু নতুন যুগে আসছে এমন এক ইন্টেলিজেন্ট সহচর, যার সঙ্গে আপনার হাতেই থাকবে পুরো প্রযুক্তি, কোনো স্ক্রিন বা টাচপ্যাড ছাড়াই।

শেখ ফরিদ

আরও পড়ুন

Lading . . .