ব্যাংক একীভূত করা ঠেকাতে ‘তদবির’ অর্থনীতির সূচনা হচ্ছে
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

বেসরকারি ব্যাংক একীভূতকরণ পদক্ষেপ ঠেকাতে নতুন করে তদবির অর্থনীতির সূচনা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংক একীভূত করা রাজনৈতিকভাবে অনেক কঠিন বিষয়।
আজ বৃহস্পতিবার বনানীর পিআরআইয়ের নিজ কার্যালয়ে মাসিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনা শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন আশিকুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আখতার হোসেন।
আশিকুর রহমান বলেন, ‘আগে অর্থ পাচারের বড় অস্ত্র ছিল মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি। এখন পাচার কমে আসায় মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কম হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার গড়ের তুলনায় আমাদের দেশে সুদের হার বেশি না। আর এখানে সুদের হার নীতি সুদ হারের কারণে নয়, বরং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি না কমিয়ে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পদক্ষেপ নিলে তা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ আখতার হোসেন বলেন, ব্যাংকগুলোর একীভূত করার ক্ষেত্রে ৩০ হাজার কোটি টাকা লাগতে পারে। এই টাকা বন্ডের মাধ্যমে এবং বিদেশি কিছু সহায়তার মাধ্যমে জোগান দেওয়া হবে। মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য আরও কিছুদিন সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ধরে রাখতে হবে।
অর্থনীতির গতি নিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘অর্থনীতির গতি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু আমাদের স্থানীয় সঞ্চয় খুব কম। তাই কর্মসংস্থান বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। সে জন্য ব্যবসায়িক পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। এটা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের একার দায়িত্ব নয়।’
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক খুরশিদ আলম। এ ছাড়া অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।