নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা
প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়া হবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
নির্বাচনের বাজেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজ অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় জানান। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন করতে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরেকটু কমলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ওরা (যুক্তরাষ্ট্র) যেটা করেছে মোটামুটি। স্বস্তির জায়গা বলব না। এমনিতেই বিশ্ব অনেক চ্যালেঞ্জে। তবে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ খুব খারাপ অবস্থানে নেই।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যেটা হয়েছে, আমাদের পোশাক ও নিট পোশাক খাত তাড়াতাড়ি সমন্বয় করে ফেলতে পারবে। বস্ত্র খাতের বোনায় (উইভিং) একটু সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবার দর-কষাকষিতে যাওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘হ্যাঁ। ইউএস চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশের বিষয়ে তাদের মনোভাব খুবই ভালো। শেভরন ও মেটলাইফের অর্থ দিয়ে দেওয়ার কারণে বলেছে, তোমরা তো টাকা আটকে রাখো না।’
চুক্তি এখনো সই হয়নি জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হবে। কোন কোন জায়গায় আমাদের শুল্ক কমাতে হবে, কী কী আমদানি করতে হবে, তা দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, যখন উভয় পক্ষের নিবিড় (ওয়ান টু ওয়ান) দর-কষাকষি হয়, অনেক কথা বলা হয় না। এটা বহুপক্ষীয় দর-কষাকষি না। এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নয়, জাতিসংঘ নয়, যে সবাই জানবেন। তা ছাড়া ভিয়েতনাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। আবার চীন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান সবাই আছে। কিছু জিনিস আছে বলা যায় না।’
এক বছরে খাদের কিনারা থেকে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই ওপরে উঠে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এটা দেখার জন্য দৃষ্টি ও অন্তর্দৃষ্টি লাগে। ভাসা–ভাসা দেখলাম, ভাসা–ভাসা বলে দিলাম, তা না। অনেক কিছুই হয়েছে।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, জ্বালানি, শুল্কসহ অনেক চ্যালেঞ্জ আছে সামনে। বড় চ্যালেঞ্জ ব্যবসায়ীদের আস্থা আনা এবং ধীরগতির ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও গতি সঞ্চার করা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা একটু স্বস্তির জায়গায় আসছে। একটু সময় লাগবে। মূল্যস্ফীতি এমন না যে ঘোড়ার রাশ ধরে টেনে দিলাম।’
সংস্কারের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু জিনিস আমরা করে ফেলেছি। কতগুলো আছে মধ্য মেয়াদে ও দীর্ঘ মেয়াদে করা হবে। যেমন ব্যাংক রেজল্যুশন। একটু সময় লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংক একটা পথনকশা করছে। পুঁজিবাজার মোটামুটি চেষ্টা করছে। এনবিআরের অধ্যাদেশ কিছুটা সংশোধন করা হবে।’