এআই প্রযুক্তি নিয়ে এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াংয়ের ৫ ভবিষ্যদ্বাণী
গ্রাফিকস-চিপ নির্মাতা থেকে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এনভিডিয়া। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানের কারণে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় চার ট্রিলিয়ন বা চার লাখ কোটি ডলার। এই রূপান্তরের নেপথ্যে আছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং। দ্রুত গতির কম্পিউটিং, এআই চিপ ও রোবোটিকসে তাঁর বিনিয়োগ প্রযুক্তি খাতকে নতুন দিক দেখিয়েছে। চীন বাজারের সম্ভাবনা, ট্রিলিয়ন ডলারের এআই অবকাঠামো, এজেন্টিক এআই বা রোবোটিকস—সবকিছুকেই তিনি আগামী দশকের পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে দেখছেন। জেনসেন হুয়াংয়ের ৫ ভবিষ্যদ্বাণী জেনে নেওয়া যাক।
চ্যাটবট ও টেক্সট জেনারেটরের সীমা পেরিয়ে এআই এখন এগোচ্ছে এজেন্টিক এআইয়ের দিকে। এই প্রযুক্তি মানুষের হয়ে পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কাজ সম্পাদন করতে পারবে। হুয়াং মনে করেন, এ ধরনের বুদ্ধিমত্তা তৈরিতে বর্তমানের তুলনায় ১০০ থেকে ১ হাজার গুণ বেশি কম্পিউটিং শক্তি প্রয়োজন হবে। সে কারণে এনভিডিয়া জিপিইউ ও ডেটা সেন্টার প্ল্যাটফর্ম আরও শক্তিশালী করছে।
এআই শুধু সফটওয়্যারে সীমিত থাকবে না, যন্ত্রেও ছড়িয়ে পড়বে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে কেবল হিউম্যানয়েড রোবটের বাজার দাঁড়াবে ৩৮ বিলিয়ন ডলারে। হুয়াংয়ের মতে, ভবিষ্যতে প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দুটি কারখানা থাকবে। একটি প্রচলিত, আরেকটি রোবটচালিত।
আগামী দশকে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হবে এআই অবকাঠামো নির্মাণে। হুয়াংয়ের হিসাবে, বিশ্বজুড়ে এআই ডেটা সেন্টারের বাজার পাঁচ বছরের মধ্যে ৩ থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। ব্ল্যাকওয়েল ও রুবিনের মতো নতুন আর্কিটেকচার এই প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। বিষয়টিকে শিল্পবিপ্লবের সঙ্গেও তুলনা করেছেন হুয়াং।
অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফট ও মেটা হচ্ছে এনভিডিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৫ সালেই প্রতিষ্ঠানগুলো এআইনির্ভর তথ্যভান্ডারে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়েছে। হুয়াং মনে করেন, ভবিষ্যতে এই ব্যয় আরও বাড়বে।
ভবিষ্যতে মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে, আর সেই অবকাঠামো জোগাবে এনভিডিয়া। আগামী দশকের দিকে তাকিয়ে হুয়াং আত্মবিশ্বাসী যে এনভিডিয়া নেতৃত্ব ধরে রাখবে। হুয়াংয়ের ভাষায়, এটি কেবল শুরু। ক্লাউড কম্পিউটিং থেকে রোবোটিকস পর্যন্ত সর্বত্র এনভিডিয়ার ভূমিকা আরও বাড়বে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া