সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন পরস্পর নির্ভরশীল নয়
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সবাই যেটা করে যে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন- এগুলো কি পরস্পর নির্ভরশীল বিষয়? এখানে পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে, এগুলো মিউচুয়াল বিষয়। ইন্টারডিপেন্ডেন্সির ওপরে কোনোটা নেই। তার মানে, এগুলো পরস্পর নির্ভরশীল বিষয় নয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জনগণ একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন চায়, সেটা তাদের কামনা, আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা। এখন নির্বাচন আয়োজনে চ্যালেঞ্জের কথা বলা হচ্ছে, নাগরিক সমাজের ভূমিকা নিয়ে। সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা এখনো দেয়া আছে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহযোগিতা চাইলে সরকারসহ সমস্ত সংস্থা তা দিতে বাধ্য। অতীতে নির্বাচন কমিশন এই ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি। কারণ নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ছিল বেশি। বর্তমানে সে পরিবেশ নেই।
তিনি বলেন, কেয়ারটেকার ব্যবস্থা এখনো প্রতিষ্ঠিত না হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেয়ারটেকার ব্যবস্থার আদলেই তার কর্মপরিচালনা করছে। যখন কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে পূর্ণাঙ্গভাবে, তখন কেয়ারটেকার ব্যবস্থার অধীনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই পরবর্তী নির্বাচনগুলো হবে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, তাতে করে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কর্মকাণ্ড সেই সময়সীমার মধ্যেই হচ্ছে। বরং বলা যায় ডিলিমেটেশন (সীমানা নির্ধারণ) গ্যাজেট হয়েছে, সেটা আরো অ্যাডভান্স হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচনের সমস্ত কাজ ও আয়োজন, প্রস্তুতি সবকিছু সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে।