তানোর-বায়া সড়কে খানাখন্দে জনদুর্ভোগ চরমে

তানোর-বায়া সড়কে খানাখন্দে জনদুর্ভোগ চরমে

রাজশাহীর তানোর-বায়া প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ইটের টুকরা এবং খানাখন্দ এখন যানবাহন যাত্রীদের জন্য জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে নিয়মিত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনও। এদিকে, তানোর থেকে রাজশাহী শহরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার এমন বেহাল দশায় হাজারো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তানোর-কাশিমবাজার-মোহনপুর রাস্তা সিঙ্গেল হওয়ায় ট্রাক-বাস বিকল্প রাস্তা হিসেবে এই রাস্তায় যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ তানোর-বায়া রাস্তায় যাতায়াত করছেন। অনেক স্থানে রাস্তা ফুলে ও ফেটে কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও বিশাল অংশ দেবে আছে। বর্তমানে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সেখানে পানি জমে রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এতে যাত্রীবাহী বাস খানাখন্দের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী বলেন, বর্তমানে খানাখন্দে সড়ক বিভাগ ইট ও বালু ফেলছে। বৃষ্টিতে বালু ধুয়ে যাচ্ছে। যানবাহনের চাকার চাপে ইট ভেঙে যায়। চাকার নিচে পড়ে একেকটি খোয়া বুলেট গতিতে ছুটে যাচ্ছে। যা চলাচলরত যাত্রী ও যানবাহনে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। এদিকে, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক। তানোরের নির্মাণাধীন কয়েকটি কোল্ড স্টোরে এসব ওভার লোড ডাম্প ট্রাকে করে প্রতিদিন বালু ভরাট করে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা নষ্টের অন্যতম কারণ এসব ডাম্প ট্রাক। গত বুধবার সরজমিন তানোর কাশেম বাজার মোড় থেকে বায়া রাস্তায় দেখা গেছে, কালীগঞ্জ বাজার থেকে দেওতলা মোড়ের দক্ষিণের রাস্তা, চান্দুড়িয়া চকির ঘাট ব্রিজের সামনে, হাড়দহ বিলের মাঝের নাইস গার্ডেনের সামনের কয়েকটি স্থান, বাগধানী মোড়ের পূর্ব এবং পশ্চিম দিক। পশ্চিম দিকের রাস্তা এবং বাগসারা মোড়ের উত্তর দিকে ও দক্ষিণ দিকের বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্নস্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে থাকার পাশাপাশি পিচ্ছিল হয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক, বাস, ট্রলি, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চরম দুর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অপরদিকে, বাগধানী ও দুয়ারী মোড়ে পুরনো দু’টি ব্রিজ ঝুঁঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। তবে, ওই দুই ব্রিজের পাশেই পৃথক নতুন দু’টি ব্রিজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু সংযোগ সড়কের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় চালু হয়নি ব্রিজ দু’টি। ফলে পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দু’টির উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। ওই ব্রিজ দু’টিরও বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।