নিখোঁজ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪১ ঘণ্টা পর উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার (হালিমা) নিখোঁজ হওয়ার ৪১ ঘণ্টা পর তাঁর সন্ধান পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সম্পর্কে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকাল সাতটায় নিখোঁজ প্রীতি খন্দকার তাঁর স্বামীকে ফোন করেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রীতি খন্দকারের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। পরে তাঁকে কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিই। সেখানেই তিনি আছেন। তাঁকে উদ্ধার করে এলাকায় আনার জন্য পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।’
প্রীতি খন্দকার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী (পদ্মফুল প্রতীক)। চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন এখানে ভোট গ্রহণ করা হবে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে প্রীতি খন্দকার আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। এ ঘটনায় গতকাল সকালে তাঁর স্বামী মাসুদ খন্দকার বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডি ও প্রার্থীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সার্ভারের ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় প্রথমে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষিত হন প্রীতি খন্দকার। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে তিনি জোর প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে দুই নারী সহযোগীকে নিয়ে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে প্রচারণায় যান। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর সময় দুই নারী বাইরে আসেন। তখন ভোটারদের সঙ্গে গ্রামের ভেতরে কথা বলছিলেন প্রীতি। ১০ থেকে ২০ মিনিট পার হলেও যখন প্রীতি বের হয়ে আসছিলেন না, তখন ওই দুই নারী ভেতরে যান। কিন্তু তাঁরা প্রীতিকে কোথাও খুঁজে পাননি।
মাসুদ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকাল সাতটার দিকে পুলিশ ফোন করে জানায়, আমার স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া গেছে। বিজয়নগর থানার পুলিশ আমাদের সেখানে (কাঁচপুর) নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর স্ত্রীকে গুম করার চেষ্টা করেছে।