মৌলভীবাজারে বোনকে উত্ত্যক্ত করায় যুবককে গলা কেটে হত্যা

জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক লিটন মিয়া (২৭) হত্যার ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শামীম আহমদ (৩৩)কে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। মুঠোফোনে মানবজমিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার পিবিআই পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) জাফর হোসেন। তিনি জানান, গত রোববার বিকালে রাজনগর থানা এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে পিবিআইয়ের একটি টিম। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে শামীম স্বীকার করেন সম্প্রতি তার বোনকে লিটন উত্ত্যক্ত করতো। এ ছাড়া লিটন শামীমদের ঘরেও একবার আগুন দেয়। এলাকায় কৃষিক্ষেতের ট্রাক্টর চুরি, বখাটেপনাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গেও জড়িত ছিল লিটন। তার কারণে অতিষ্ঠ ছিল নিজ এলাকার প্রতিবেশীরা। এসব কারণে ক্ষোভ থেকে ৭-৮ জন মিলে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি জানান ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। উল্লেখ্য ৯ই সেপ্টেম্বর সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দগ্রাম একটি মসজিদের পাশ থেকে লিটনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত লিটন ওই গ্রামের সত্তার মিয়ার ছেলে। চাঞ্চল্য এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ছিল পুরো উপজেলার মানুষ।