রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বাদ পড়া প্রার্থীরা আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনজন প্রার্থী ভুল সংশোধনের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে দুপুরে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছোটখাটো কিছু ভুল থাকায় নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাদ পড়া প্রার্থীরা লিখিত আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। দুপুরে তাঁদের শুনানি হবে।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রশিবির–সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের নির্বাহী সদস্য সুজন চন্দ। অন্যরা হলেন সহসভাপতি (ভিপি) পদে সাগর আহমেদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আশিকুর রহমান, সহপরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে শাহীন আলম এবং সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে রিসার্চ চাকমা। সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদের দুই প্রার্থী মারুফ হাসান ও ওমর ফারুকও বাদ পড়েছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্রে অসংগতি ও তথ্যগত ভুলের কারণে তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
আজ সকালে কমিশনে গিয়ে আবেদন করেন সুজন চন্দ। তিনি বলেন, ‘মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকের স্বাক্ষর বাদ পড়েছিল। সেটা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি। আশা করি প্রার্থিতা ফিরে পাব।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাকসুর ২৩টি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২৬০ জন এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৬২ জন। যাচাই-বাছাই শেষে রাকসুতে ২৫৫ জন এবং সিনেটে ৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী রাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ জন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী লড়বেন। সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৬০ জন।