রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবরের জামিন
সিলেটের চাঞ্চল্যকর পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই
আকবর হোসেন হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে জামিন পেয়ে এদিন সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগার থেকে তিনি বের হয়েছেন।
এসআই আকবর হোসেনের জামিন ও কারাগার থেকে বের হওয়ার বিষয়টি সোমবার সকালে নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
জামিন পাওয়ার খবরে নিহত রায়হানের মা জানিয়েছেন, ‘এখন এই আসামি দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তার জামিনে আমরা হতাশ হয়েছি।’
এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং যেকোনো দিন রায় ঘোষণার তোড়জোড় চলছিল। এরই মধ্যে এসআই আকবর জামিন পেয়েছেন এবং তার দ্রুত দেশ ত্যাগের আশঙ্কা করছেন নিহত রায়হানের পরিবার।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরে ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা করেন।
এই মামলার আসামি আশিক এলাহীও দুয়েকদিনের মধ্যে জামিন পেতে পারেন। আর বাকি সব আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে একজন আমেরিকাতে, একজন ফ্রান্স ও দু’জন মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে একই বছরের ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে ২০২১ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। এতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
এছাড়া অন্যরা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো: হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), এসআই মো: হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২।