ডাকসু ভবন। ছবি : সংগৃহীত

ডাকসু : উত্তেজনা নিরসনে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কথা বলেছে সরকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফল নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারও কথা বলেন দুদলের নেতাদের সঙ্গে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিএনপি ও জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সরকার উভয় পক্ষকেই কড়া বার্তা দিয়ে বলেছে, বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘন ও কারচুপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাগছাসের সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।

অবশ্য নির্বাচনের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তাই বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে অংশ নেন। ভোট চলাকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় অংশ নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। শাহবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। শাহবাগের একপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ছিলেন।

সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর ছাত্রদল বাংলামটর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যায়। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। জামায়াতও শাহবাগে অবস্থান ধরে রাখে। এতে সংঘর্ষের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং আশঙ্কা তৈরি হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, রাজনৈতিক উত্তেজনা নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী টেলিফোনে কথা বলেন দুই দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আইন উপদেষ্টা এবং আরও দু-একজন ফোন করেছিলেন। তারা উত্তেজনা কমাতে পরামর্শ দিয়েছেন। বিএনপি আশ্বস্ত করেছে, সংঘাতের আশঙ্কা নেই। দলের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের এ বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ কালবেলাকে বলেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সরকারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তারা সংঘর্ষে জড়াবে না ও বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রবেশ করবে না। তবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তারা সজাগ থাকবে।