আবারও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ৩ দফা দাবিতে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনো সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ কারণে আজ বুধবার আবারও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বিকেল চারটায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় দুই পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের দুই প্রান্তে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজারো যাত্রী।
এর আগে কয়েক দিন ধরে একই দাবিতে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করে আসছিলেন। গত ৩১ আগস্ট শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ইউজিসিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা আবারও বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে ফিরে আসেন।
অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এক মাসের বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করলেও সরকারের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কিংবা ইউজিসির কোনো প্রতিনিধি তাঁদের সঙ্গে এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি। বিষয়টি তাঁদের হতাশ করেছে।
আন্দোলনের মেয়াদ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী অমিও মণ্ডল বলেন, ‘যত দিন আমাদের প্রতিটি দাবির রোডম্যাপ প্রকাশ না করবে, তত দিন আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা আমরণ অনশনে যাব।’
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের আরেকজন মোশাররফ হোসেন বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ১৪ বছরেও শ্রেণিকক্ষসহ অন্যান্য সংকট কাটেনি। ৬টি অনুষদের ২৫টি বিভাগের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন, কিন্তু আছে মাত্র ৩৬টি। কক্ষসংকটের কারণে অনেক সময় খোলা মাঠে পাঠদান করাতে হয়। আবার কখনো পাঠদান বন্ধ রাখতে হয়। এতে সেশনজট বাড়ছে। বাড়ছে শিক্ষার্থীদের হতাশা। ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য চারটি হল থাকলেও সেখানে দুই হাজার শিক্ষার্থী থাকতে পারেন। বাকি শিক্ষার্থীদের বাইরের মেসে থেকে পড়াশোনা চালাতে গিয়ে পরিবারের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আয়তন বাড়ানো, অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপদ পরিবহনব্যবস্থা।