গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর চাঁদাবাজদের চেহারা পরিবর্তন হয়েছে। পুরোনো চাঁদাবাজরা আত্মগোপনে গেলেও নতুন নতুন চাঁদাবাজের উত্থান হয়েছে। নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় মুন্না আমিন নামে এমনই এক চাঁদাবাজের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও সাধারণ মানুষ। জামায়াতের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে এই ব্যক্তি জেলেও গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জেলে যাওয়ার মাস দেড়েক পর ছাড়া পেয়ে আবারও জড়িয়ে পড়েছে চাঁদাবাজিতে।
শুধু চান্দগাঁও এলাকায় নয়; পুরো চট্টগ্রামে পুরোনো চাঁদাবাজদের জায়গায় আসছে নতুন চাঁদাবাজ। সেই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে চাঁদাবাজির ধরনও। এখন কেউ কেউ চাঁদা নিচ্ছে নানা অভিনব কৌশলে। ফেসবুক ব্যবহার করেও চাঁদাবাজি চলছে। এরই মধ্যে নব্য চাঁদাবাজদের থাবা পড়েছে গার্মেন্টস, পরিবহণ সেক্টর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আবাসন খাতে। এমনকি ফুটপাতেও চাঁদাবাজদের থাবা। চান্দগাঁও এলাকার লোকজন জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর চান্দগাঁও এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মুন্না আমিনের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে সাধারণ মানুষ। মুন্নার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, সিএন্ডবি এলাকা, কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে। টং দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে মুন্নার বিরুদ্ধে।