চাঁদপুরে কবরস্থানে বাক্সবন্দী উদ্ধার নবজাতকের হাসপাতালে মৃত্যু
চাঁদপুর কবরস্থান থেকে উদ্ধার হওয়া একটি নবজাতক প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নবজাতকটি মারা যায়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক একটি নবজাতককে বাক্সবন্দী করে মৃত বলে কবরস্থানে দাফনের জন্য দিয়ে যান। কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বাক্স খুলে দেখেন, নবজাতকটি জীবিত। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতায় তাকে স্থানীয় ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নবজাতকটির ওজন ছিল ৮০০ গ্রাম। তাকে নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়। অনেক পরিবার তার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে হাসপাতালে আসে। শেষ পর্যন্ত শাহীন নামের এক ব্যক্তি নবজাতকটির দায়িত্ব নেন।
পৌর কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা শাহাজাহান মিয়াজী বলেন, গতকাল জোহরের নামাজ শেষে তাঁর কক্ষের সামনে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি নবজাতকটি মৃত বলে বাক্সবন্দী অবস্থায় দাফনের জন্য রেখে যান। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। পরনে চেক শার্ট ছিল। পরে তাঁরা নবজাতকটিকে দাফনের জন্য কবরস্থানের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় সে জীবিত।
ফেমাস স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনুস উল্যা বলেন, নবজাতকটিকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে আনা হলে বিনা খরচে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে সে মারা যায়। স্থানীয় সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় রাত আড়াইটায় তাকে দাফন করা হয়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া বলেন, কবরস্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় নবজাতকটিকে রেখে যাওয়া ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।