লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ছবি : কালবেলা

বিদ্যালয়ের পাশে পড়ে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল শিশুর

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পড়ে থাকা বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে মো. ইসমাইল নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. মিজান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে দ্বগ্ধ শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।

ইসমাইল ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং চরবংশী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির নির্মাণ শ্রমিক সফিকুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুতের ছেঁড়া তারের বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ব্যবস্থা না নেওয়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সমিতির লোকজনের অবহেলাকে দায়ী করা হচ্ছে।

তারা জানান, বিদ্যালয়ের পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তারটি ছিঁড়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে এলাকার লোকজন ছেঁড়া তারটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে কল দেয়। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ওই ছেঁড়া তারে জড়িয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইলের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. মিজান বলেন, দুর্ঘটনায় শিশুটির শরীর দ্বগ্ধ হয়ে যায়৷ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই তার দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রায়পুর কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পর আমরা বিষয়টি জানতে পেরে লাইন মেরামত করি। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না। খুঁটি থেকে তার ছিঁড়ে যাবার পর আমার মোবাইল ফোনে কেউ কল করে জানায়নি।

এদিকে চার দফা দাবিতে সারা দেশের মতো লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকার্তা-কর্মচারীরা গত এক সাপ্তাহ ধরে গণছুটিতে গিয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে মাঠপর্যায়ে বৈদ্যুতিক লাইনে কোনো সমস্যা দেখা দিলে গ্রাহকরা কোনো অভিযোগ জানাতে পারছেন না। এতে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা ঘটছে।