চাঁদপুরে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, দাম কিছুটা কমলেও নাগালের বাইরে
ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষের পথে। শেষ সময়ে এসে চাঁদপুরের মাছবাজারে ইলিশের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। এর প্রভাবে দাম সামান্য কমলেও এখনো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে রয়ে গেছে প্রিয় এই মাছ।
চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা যায়, পদ্মা–মেঘনার এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। একই ওজনের সাগরের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়।
বাজারের আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও এ বছর জুলাই–আগস্টে সরবরাহ তুলনামূলক কম ছিল। জুলাই–আগস্টে চাঁদপুরের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে সরবরাহ বাড়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে ছোট-বড় ইলিশ মিলছে ভিন্ন ভিন্ন দামে।
স্থানীয় ইলিশ বিক্রেতা নবীর হোসেন বলেন, এবার আমদানি কম থাকায় অন্যান্য বছরের মতো দাম কমেনি। তাই এখনো ইলিশ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
বর্তমানে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ মণ ইলিশ বাজারে আসছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার। তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে এই সময় বাজারে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার মণ ইলিশ সরবরাহ হতো। তবে এ মাসে ইলিশের দাম কিছুটা কমলেও ভারতে ইলিশ রপ্তানির ঘোষণার কারণে দামের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জুলাই–আগস্টে পদ্মা–মেঘনাসহ বিভিন্ন নদী থেকে ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়েছে। গত বছর একই সময়ে আহরিত হয়েছিল ৩ হাজার ৬২৯ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র চাঁদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাউসার দিদার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীর নাব্যতা হ্রাস, অবৈধ জাল ব্যবহার ও দূষণের কারণে এ বছর ইলিশের সরবরাহ কম।