সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে নাতির পর চলে গেলেন নানিও

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণে নাতির পর চলে গেলেন নানিও

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে টিনশেড ঘরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এক মাস বয়সি শিশুর মৃত্যুর পর এবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তার নালি তাহেরা আক্তার (৫০)। সোমবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন মো. হারুনুর রশীদ জানান, তাহেরা আক্তারের শরীরের প্রায় ৪১ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং তার শ্বাসনালিও দগ্ধ হয়েছিল। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে রোববার ভোরে মারা যায় তাহেরার এক মাস বয়সি নাতি ইমাম উদ্দিন। একই ঘটনায় শিশুটির বাবা মো. হাসান, মা সালমা বেগমসহ পরিবারের আরো সাতজন এখনো ঢাকার বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে দুই থেকে তিনজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।

বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার রনি সিটি সংলগ্ন জাকির খন্দকারের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়ির তিনটি ভাড়াটিয়া কক্ষে।

বিস্ফোরণের পরপরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে থাকা সকল সদস্য দগ্ধ হন।

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, ফ্রিজের কম্প্রেসারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনাটি তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে হয়েছে। তাদের মতে, বিস্ফোরণের পরও ঘরের মেঝের নিচ থেকে বুদবুদ উঠতে দেখা গেছে, যা গ্যাস লিকের আলামত হতে পারে।

বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আদমজী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মিরন মিয়া জানান, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে সুনির্দিষ্টভাবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যাবে।