প্যারোলে মুক্তি পেয়েও বাবার জানাজায় উপস্থিত হতে পারেননি ছেলে
গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্যারোলে মুক্তি পেয়েও বাবা মো. আলাউদ্দিন শেখের জানাজায় যোগ দিতে পারেননি ছেলে বেলায়েত হোসেন শেখ (৪৮)। রাত হয়ে যাওয়ায় বাবার জানাজা পড়তে না পারলেও বাবার কবরে মাটি দিতে সক্ষম হয়েছেন বেলায়েত।
বুধবার বাদ আসর সাড়ে ৬টায় কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রাথুরা (নালির পাড়া) সাদিয়া কওমি মহিলা মাদ্রাসার মাঠে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মো. আলাউদ্দিন শেখ (৯৩) কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনিও ওই মামলার ১ নাম্বার আসামি ছিলেন।
তার মেজো ছেলে বেলায়েত হোসেন শেখ গাজীপুরের কালীগঞ্জের মমতাজ উদ্দিন ওরফে মন্তু, সাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বড় ভাবির বোন সুলেমা বেগম হত্যা মামলার বিচারাধীন হাজতবাসী আসামি।
এর আগে বাবার মৃত্যুতে তাকে বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। পরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে না পারলেও বাবার কবরে মাটি দিতে পেরেছেন ছেলে।
বুধবার সকাল ৭টায় বাবা আলাউদ্দিন শেখ (৯৩) বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিরোধে ধনপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মন্তু, তার দুই ছেলে মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও আত্মীয় সালমা বেগমকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের সেজু ছেলে আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিদের মধ্যে বেলায়েত হোসেন কারাগারে থাকলেও বাকি দুইজন মিনার হোসেন ও শরিফ পলাতক রয়েছেন। এছাড়া এজাহারভুক্ত বাকি আসামিরা জামিনে রয়েছেন।
এদিকে মামলার বাদী আজিজুল ইসলাম জানান, বাবা, দুই ভাই ও ভাবির বোনকে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত। এ হত্যার বিচার চাই। এমনটির দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।