ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা লে-অফ ঘোষণা, ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ঢাকার ধামরাইয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানা লে-অফ ঘোষণার পর ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে তাঁরা কারখানা–সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার জয়পুরা এলাকায় মমো ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন।
শ্রমিকেরা জানান, গতকাল সোমবার দুপুরে তাঁদের ছুটি দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এলে ফটকে টাঙানো নোটিশে দেখা যায়, ২৬ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর শ্রমিকেরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং কিছু সময়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করেন। সকাল নয়টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
কারখানার নোটিশে বলা হয়েছে, গত তিন মাস ধরে কাজ না থাকায় প্রায়ই শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের ছুটি দিতে হচ্ছিল। কারখানার বন্ড লাইসেন্স–সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে, আর এ সমস্যার সমাধান সময়সাপেক্ষ। এ ছাড়া লাইসেন্স-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বিদেশি ক্রেতারাও অর্ডার দিচ্ছেন না।
নোটিশে আরও বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ও ১৬ ধারা অনুসারে ২৬ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত লে-অফ ঘোষণা করা হলো। এ সময় শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শ্রম আইন অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তবে এর আগে সমস্যার সমাধান হলে নতুন নোটিশ দিয়ে কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
কারখানার এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘কোম্পানি লে-অফ ঘোষণা করতেই পারে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন আমাদের দাবি হলো শ্রম আইন অনুসারে সার্ভিস বেনিফিট, ছুটির পাওনা টাকা, ১২০ দিনের বেসিক বেতন ও চলতি মাসের বেতন দেওয়া।’
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিজিএমইএ, কারখানা মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা আমাদের কার্যালয়ে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করছেন। মূলত লে-অফ ঘোষণার কারণেই শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছিলেন। তাঁরা প্রায় ৪০ মিনিট সড়ক অবরোধ করেছিলেন।’