একটি সংসদীয় আসন বাড়ানোয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রশংসা করেছে গাজীপুরবাসী। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে গাজীপুরের বিএনপির নেতারা।
অন্যদিকে, একটি সংসদীয় আসন কমানোয় শুনানিতে বাগেরহাটবাসী ইসির সমালোচনা করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে ঢাকা অঞ্চলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে গাজীপুরের প্রতিনিধিরা দাবি-আপত্তির শুনানিতে এসে ছোটখাটো অভিযোগ থাকলেও তা উপেক্ষা করে ইসির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।
এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। ইসি সচিব আখতার আহমেদ সঞ্চালনা করেন শুনানিতে।
শুনানিতে বিএনপি নেতা এ কেএ ম ফজলুল হক মিলন বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল গাজীপুরে আসন বাড়ানোর। সিইসি ও অন্য যে নির্বাচন কমিশনার বর্তমানে রয়েছেন, তারা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় আপনার এক নম্বরে রয়েছেন।”
‘বেশি প্রশংসা করব না’ জানিয়ে মিলন ইসির উদ্দেশে বলেন, “আপনারা গাজীপুরবাসীর প্রতি যে বদান্যতা দেখিয়েছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ, সময়যোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস এসেছে বিএনপির এই নেতার কাছ থেকে।
মিলন বলেন, “আপনাদের পাশে থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যে কোনো আন্দোলন, সংগ্রাম বলেন ন্যায় সঙ্গত বিষয়ে সাড়া দেব। অধিকার আদায়ে ইসিকে সহায়তা করব।”
কৃতজ্ঞতার জবাবে শুনানি শেষে মঞ্চ থেকে ইসি সচিব বলেন, আপনারা এসেছেন, এতেই আমরা ধন্য।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়। আর গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে করা হয় ছয়টি।
শুনানি থেকে বেরিয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, আমাদের কয়েকজন আজকের শুনানিতে বিভিন্ন আসনে থানা, ওয়ার্ড সংযোজনের দাবি দাবি জানিয়েছেন। বাকি সবাই ইসির পক্ষে ছিলাম। আসন বাড়ানোয় আমরা কমিশনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।