জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ছবি : সংগৃহীত

শিশুর পর চলে গেলেন মা-বাবাও

গাজীপুরের টঙ্গী মিরার বাজার এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এর আগে ঘটনার দিন গত ৩ আগস্ট তাদের ৪ মাস বয়সী পুত্রসন্তান মারা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, রোববার (৩ আগস্ট) সকালের দিকে দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে চার মাসে শিশু রায়হানকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে রায়হানের মা হাফিজা আক্তার (২০) এবং পরে রায়হানের বাবা মোহাম্মদ রিপন (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান।

ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে হাফিজার শরীরের ৭৬ শতাংশ ও রিপনের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের মরদেহ বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার (০৩ আগস্ট) গাজীপুরের টঙ্গীর মিরের বাজারে এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তারা স্বামী-স্ত্রী-সন্তান তিনজনই পুড়ে যায়। ওইদিন সকালের দিকে দগ্ধ অবস্থায় চার মাসের শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

নিহত রিপন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিংয়ে চাকরি করতেন। আর হাফিজা ছিলেন গৃহিণী। এ দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিল রায়হান।