জাকসুর জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ছাত্রদলের ‘বিদ্রোহী’ অনন্যা ফারিয়া

জাকসুর জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ছাত্রদলের ‘বিদ্রোহী’ অনন্যা ফারিয়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। অনন্যা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণার দিন বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অনন্যা বলেন, ‘আমি ১৯৭১ ও ২০২৪–এর পক্ষে, নারী-পুরুষ সমতার পক্ষে এবং সর্বোপরি সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক জাহাঙ্গীরনগরের পক্ষে সম্মিলিত ঐক্যের ডাক দিচ্ছি এবং এই সম্মিলিত ঐক্যের স্বার্থে আমি আমার নির্বাচনী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আমি অঙ্গীকার করছি, যে সাপোর্ট, যে ভালোবাসা ও যে বিশ্বাস আমি সবার কাছ থেকে পেয়েছি, আমি সেটার অমর্যাদা কখনোই করব না এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমি সব সময় মাঠে থেকে যাব।’

কারও চাপে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে অনন্যা বলেন, ‘আমি চাপের কাছে নতিস্বীকার করার মতো কোনো ব্যক্তি নই। আমি আমার নৈতিকতার জায়গা থেকে যেটি ঠিক মনে হয়, সেটিই করেছি।’ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কি না, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ রকম কোনো ব্যাপার নয়। আমি ঘৃণার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমি গণতান্ত্রিক চর্চার বিশ্বাস করি। একটি নির্দিষ্ট দলের চাপের জন্য আমার প্রার্থিতা ছেড়ে দিতে হচ্ছে, এমন কিছু নয়। আমি যে ঐক্যের ডাক দিচ্ছি, এটা সম্পূর্ণই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য।’

গত ২৮ আগস্ট জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। প্যানেল ঘোষণার পর একই দিন বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। সেখানে স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর আজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ওই শিক্ষার্থী।