ছবি: যুগান্তর

‘ভিডিও ফাঁসের ভয়’ দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেফতার

রাজধানীর লালবাগে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মো. মেহেদী হাসানকে (২১) গ্রেফতার করেছে লালবাগ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী লালবাগ থানাধীন আরএনডি রোডে বসবাসকারী একজন ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকলেও, দেড় বছর আগে ছেলে বিদেশ চলে যাওয়ায় বর্তমানে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে থাকেন। ভুক্তভোগী ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে।

অভিযুক্ত মেহেদী হাসান ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলার কচুয়া সাহামাদার এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি লালবাগ শহিদনগর ৮ নম্বর গলিতে ভাড়া থাকেন। তিনি বিবাহিত এবং প্রায় ৫–৬ বছর আগে বাদীর বাসায় ভাড়াটিয়া ছিলেন। বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কিং-এর কাজ করেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে তার মেয়ে বান্ধবী ও এক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে গৌড় এ শহীদ মাজার এলাকায় হাঁটছিল। এসময় মেহেদী তাদের গোপনে ভিডিও ধারণ করে এবং ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর আদায় করে। পরদিন, ৬ সেপ্টেম্বর রাতে মেহেদী শিক্ষার্থীকে ফোনে দেখা করার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হলে ভিডিও পরিবারকে দেখানোর হুমকি দেয়। মেহেদী জানায়, সে বাসায় এসে দেখা করবে এবং ভিডিও ডিলিট করে দেবে।

এরপর ৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টার দিকে মেহেদী বাদীর অগোচরে বাসার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে প্রবেশ করে। ভিকটিম চিৎকার করতে চাইলে মুখ চেপে ধরে ভয় দেখায় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। সকাল ৬টার দিকে কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে বের হয়ে যায়।

ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থী কান্নাকাটি ও খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম করতে থাকলে, খালা রেশমা বেগম তাকে জিজ্ঞেস করেন। অনেক সংকোচের পর শিক্ষার্থী ঘটনার বিস্তারিত জানায়। এরপর পরিবার বিষয়টি জেনে থানায় মামলা দায়ের করে।

বাদী অভিযোগ করেছেন, ভয়-ভীতি দেখিয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক নির্যাতন করেছে মেহেদী। নিরাপত্তার কারণে কিছুটা দেরিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান যুগান্তরকে জানান, ‘ঘটনার বিষয়ে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’