সেকাল–একালের শাকিব খানকোলাজ

সেকাল–একালের শাকিব খান, ১১ বছরের গল্প বললেন

ঢালিউড তারকা শাকিব খান ফেসবুকের জনপ্রিয় ‘দ্যান অ্যান্ড নাউ’ ট্রেন্ডে অংশ নিয়েছেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি প্রকাশ করেছেন দুটি লুক—একটি ১১ বছর আগের ‘লাভ আজকাল’ সিনেমার, অন্যটি সাম্প্রতিক সময়ের। আজ বুধবার ছবি দুটি পোস্ট করে শাকিব খান লিখেছেন, ‘গত ১১ বছরে শেখা, উত্থান-পতন—প্রতিটি অধ্যায় আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে।’

শুধু ছবি নয়, পোস্টে তিনি নিজের চলচ্চিত্রজীবন নিয়েও দীর্ঘ পথচলার অভিজ্ঞতা অল্প কথায় তুলে ধরেছেন। শাকিব জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জীবনে পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু প্রতিটি অভিজ্ঞতা তাঁকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে।

বাংলাদেশি সিনেমার পাঁচ দশকের ইতিহাসে এমন কিছু নাম আছে, যাঁদের ছাড়া গল্প পূর্ণ হয় না—ঠিক তেমনই একটি নাম শাকিব খান। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পার করেছেন তিনি। দীর্ঘ এই যাত্রায় প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় ধরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢালিউডকে। তবে সাফল্যের এই মুকুট তিনি খুব সহজে পাননি। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল চ্যালেঞ্জ, ছিল ব্যর্থতা আর নতুন করে উঠে দাঁড়ানোর অদম্য সাহস। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি দেখেছেন উত্থান-পতন, পেয়েছেন সমালোচনা, জয় করেছেন কোটি দর্শকের হৃদয়।

নিজের লড়াইয়ের গল্প বলতে গিয়ে শাকিব খান অকপটে স্বীকার করেছেন, ‘হার মানিনি, কারণ, প্রতিটা ভুল আমাকে শিখিয়েছে। পিছিয়ে পড়িনি, কারণ, প্রতিটা ব্যর্থতা আমাকে গড়ে তুলেছে। যখন দুনিয়া বলেছে “পারবে না”, আমি বলেছি, দেখে নিও। সময় বারবার পরীক্ষা নিয়েছে, কিন্তু আমি থামিনি।’ শাকিব খানের এই কথার মধ্যে লুকিয়ে আছে তাঁর সাফল্যের পেছনের গল্প।

করোনা–পরবর্তী সময়ে বাংলা সিনেমার দর্শকেরা যেন খুঁজে পেয়েছেন নতুন এক শাকিব খানকে। বদলে গেছে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, পর্দায় নিজেকে উপস্থাপনের ধরন, এমনকি দর্শকের সঙ্গে সম্পর্কও। যার প্রতিফলন দেখা গেছে ২০২৩ সালে হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমা দিয়ে। এ ছবি দিয়েই নতুন দিনের শাকিব খান সবার কাছে ধরা দিয়েছেন। শাকিব খানের এই ছবি শুধু একক হলের দর্শককেই নয়, সিনেপ্লেক্স-মাল্টিপ্লেক্সের তরুণ প্রজন্মকেও সমানভাবে ছুঁয়ে গেছে। এমনকি দেশের বাইরেও ছবিটির সাফল্য ছিল অপ্রত্যাশিত।

যাঁরা আগে বলতেন, শাকিবের ছবি মূলত সাধারণ দর্শকের জন্য, ‘প্রিয়তমা’ তাঁদের ধারণা ভেঙে দিয়েছে। এবার তাঁর ভক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে তরুণ প্রজন্মও। পরবর্তী সময়ে তাঁর ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘তুফান’, ‘বরবাদ’ সিনেমাগুলো একের পর এক দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশে জনপ্রিয়তা পায়, যা বাংলাদেশি সিনেমাকে বিশ্ববাজারে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখে।

একদম শেষে শাকিব খান লেখেন, তাঁর এই পথচলা নির্ভুল ছিল না। কিন্তু তিনি যে কাজগুলো করেছেন, প্রতিটা পদক্ষেপ ছিল মূল্যবান। শাকিব খান বলেন, ‘এই পথচলায় আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি। আর সেই গল্পটা এখনো চলছে…প্রতিটি অধ্যায়ে যেন এক নতুন আমি।’

শিগগিরই ‘সোলজার’ নামে নতুন একটি ছবির শুটিং শুরু করবেন শাকিব খান। সাকিব ফাহাদ পরিচালিত ছবিটি ঈদের উৎসব ছাড়া মুক্তি পাবে। এই ছবির শুটিং শেষে ‘প্রিন্স’ নামে আরেকটি ছবির শুটিং করবেন তিনি। আবু হায়াত মাহমুদ পরিচালিত ছবিটি আগামী বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে।