‘নন্দিনী’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

শুটিং শুরুর ৭ বছর পর মুক্তি

২০২৪ সালের আগস্টে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘নন্দিনী’, এমনটাই ঠিক ছিল। প্রাথমিকভাবে কয়টি হলে মুক্তি পাবে, জুলাই থেকে সে তালিকাও চূড়ান্ত হতে থাকে। এরই মধ্যে শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, পিছিয়ে যায় সিনেমাটির মুক্তি। তারপর গত দুই বছরে একের পর এক ঘোষণা শোনা গেলেও সিনেমাটি আর মুক্তি পায়নি। পরিচালক শোয়াইবুর রহমান রাসেল জানান, কখনো নির্বাচন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, কখনো ঈদের ভিড়ে সিনেমাটি তারা মুক্তি দিতে পারেননি। এমন নানা বাধার মুখে পড়ে ইউনিটের কাছে ছবি মুক্তি দেওয়াটাই একসময় হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র লক্ষ্য। অবশেষে আজ ২৬টি হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘নন্দিনী’।

বাধার পর বাধা
শোয়াইবুর রহমান রাসেলের এটি প্রথম ছবি। তার আগে ১০ বছর নাটক বানিয়ে হাত পাকিয়েছেন। প্রথম সিনেমা নিয়ে প্রায় সাত বছর ধরে নানা জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন এই তরুণ নির্মাতা। ২০১৯ সালে শুরুর পর শিডিউলসহ বেশ কিছু জটিলতায় বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। পরে জটিলতা কাটিয়ে আবার শুটিং শুরুর প্রস্তুতির মধ্যেই বিশ্বজুড়ে দেখা দেয় করোনা। আবার বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। এভাবে নানা বাধা পার হয়ে তাঁকে ছবির কাজ শেষ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম সিনেমার নির্মাতা হিসেবে ভয়ানক এক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সময় পার করতে হয়েছে। সিনেমাটি নিয়ে অনেক চাপে আছি। এখন সিনেমাটি রিলিজ করা দরকার। আগে কয়েকবার এগিয়েছিলাম, হয়নি। এখন আর বসে না থেকে সেপ্টেম্বর মাসকে সুবিধাজনক মনে হলো।’

নায়িকা হিসেবে অভিষেক
শৈশব থেকেই কঠোর নিয়মনীতির মধ্যে বড় হয়েছেন নাজিরা মৌ। সবাই চেয়েছিলেন পড়াশোনা করে চাকরি বা অন্য কিছু করুক। সে পথে না হেঁটে ২০০৬ সালে মডেল হিসেবে বিনোদনজগতে পা রাখেন মৌ। র‍্যাম্পেও হেঁটেছেন। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে প্রথম নাটকে অভিনয় করেন। আর আজ বড় পর্দায় তাঁর অভিষেক হচ্ছে। অথচ একসময় কল্পনাও করেননি অভিনয়ে আসা হবে, মা ও বাবা কেউ চাননি মেয়ে অভিনেত্রী হোক।

মৌ জানান, খুব বেশি নাচগান নেই আর পরিবার নিয়ে দেখা যাবে, এই বলে পরিবারকে রাজি করিয়ে ২০১৯ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। ২০২২ সালে শেষ হয় শুটিং। পরের বছর বিয়েটাও সেরে ফেলেন। মুক্তির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তিন বছর আগে মা হয়েছেন। এখন মেয়েকে নিয়েই দেখতে যেতে চান নিজের প্রথম সিনেমা। মৌ বলেন, ‘এত দিন চিন্তায় ছিলাম, কবে মুক্তি পাবে। এখন ভয় লাগছে। কাল মুক্তি পাচ্ছে ভাবতেই বুক ধুকধুক করছে। কারণটা এত দিনের প্রতীক্ষা। সেই সিনেমা দেখে দর্শক কী বলবেন, তা–ই ভাবছি। পরিবারের সবাইকে নিয়েই সিনেমাটি দেখতে চাই।’

কলকাতা থেকে ইন্দ্রনীলের বার্তা
প্রায় সাত বছর আগে চিত্রনাট্য পড়ার সময়ই চরিত্রটি ভালো লেগে যায়। সেই ভালো লাগা থেকেই সিনেমায় নাম লেখান ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। তাঁর চরিত্রের নাম পলাশ। দেশে এসে শুটিং করেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কলকাতা থেকে ইন্দ্রনীল ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘দারুণ একটা টিম ছিল। কাজটিও ভালো হয়েছে। আলাদা করে বলব, আমাদের খুব ভালো খাইয়েছে। প্রতিদিন শুটিংয়ে লাঞ্চ, ডিনারে খাবার দারুণ ছিল। বাংলাদেশে আমি আগেও দুবার কাজ করেছি। আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। যতটা খেতে পারি, তারা তার চেয়েও বেশি খাওয়ায়। বাংলাদেশে যখন কাজ করি না, তখন সেটা মিস করি।’ ইন্দ্রনীল আরও জানান, গল্পের পাশাপাশি সিনেমায় একাধিক সুন্দর সুন্দর গান রয়েছে। দর্শকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমাকে আপনারা সাপোর্ট করুন, অভিনেতা হিসেবে এটাই চাই, হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন।’

গল্পে কী আছে
পরিতোষ বাড়ৈর ‘নরক নন্দিনী’ উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবিটি বানানো হয়েছে। হার না–মানা এক তরুণীর সংগ্রাম নিয়েই এই সিনেমা। এই তরুণীকে তিনটি রূপে দেখা যাবে। এ চরিত্রই করেছেন নাজিরা মৌ। সিনেমায় সাংবাদিক পলাশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। অপরাধীদের খুঁজতে গিয়ে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। নয়নতারা লিমিটেড প্রযোজিত সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, ইরেশ যাকের, মুনিরা ইউসুফ মেমী, জয়শ্রী কর জয়া, ইলোরা গহর প্রমুখ।

প্রায় সাত বছর আগে চিত্রনাট্য পড়ার সময়ই চরিত্রটি ভালো লেগে যায়। সেই ভালো লাগা থেকেই সিনেমায় নাম লেখান ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত।

তাঁর চরিত্রের নাম পলাশ। দেশে এসে শুটিং করেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কলকাতা থেকে ইন্দ্রনীল ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘দারুণ একটা টিম ছিল। কাজটিও ভালো হয়েছে। আলাদা করে বলব, আমাদের খুব ভালো খাইয়েছে। প্রতিদিন শুটিংয়ে লাঞ্চ, ডিনারে খাবার দারুণ ছিল। বাংলাদেশে আমি আগেও দুবার কাজ করেছি। আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। যতটা খেতে পারি, তারা তার চেয়েও বেশি খাওয়ায়। বাংলাদেশে যখন কাজ করি না, তখন সেটা মিস করি।’ ইন্দ্রনীল আরও জানান, গল্পের পাশাপাশি সিনেমায় একাধিক সুন্দর সুন্দর গান রয়েছে। দর্শকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমাকে আপনারা সাপোর্ট করুন, অভিনেতা হিসেবে এটাই চাই, হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন।’

গল্পে কী আছে
পরিতোষ বাড়ৈর ‘নরক নন্দিনী’ উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবিটি বানানো হয়েছে। হার না–মানা এক তরুণীর সংগ্রাম নিয়েই এই সিনেমা। এই তরুণীকে তিনটি রূপে দেখা যাবে। এ চরিত্রই করেছেন নাজিরা মৌ। সিনেমায় সাংবাদিক পলাশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। অপরাধীদের খুঁজতে গিয়ে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। নয়নতারা লিমিটেড প্রযোজিত সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, ইরেশ যাকের, মুনিরা ইউসুফ মেমী, জয়শ্রী কর জয়া, ইলোরা গহর প্রমুখ।