মেসি নেই, জিততে পারলো না আর্জেন্টিনা
লিওনেল মেসির অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেল আর্জেন্টিনা। তাকে ছাড়া খেলতে নেমে পেরে উঠল না আলবিসেলেস্তারা। ইকুয়েডরের কাছে হেরেই শেষ হলো তাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব অভিযান।
গত বছর জুলাইয়ে বাছাইয়ের প্রথম দেখায় আর্জেন্টিনাকে তাদের মাঠেই ১-১ গোলে রুখে দিয়েছিল ইকুয়েডর। এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েই দিল তারা। কিটোয় বুধবার তাদের জয় ১-০ গোলে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শেষবারের মতো মাঠে নেমে তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো নিকোলাস ওতামেন্দির, দেখলেন লাল কার্ড। ৩১তম মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারকে।
সর্বশেষ ভেনেজুয়েলা ম্যাচ থেকে পাঁচ পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান লিওনেল স্কালোনি। তবে এতো পরিবর্তন দল সইতে পারেনি, শুরু থেকেই ছিল এলোমেলো।
প্রথম ১৫ মিনিটেই গোলের জন্য পাঁচটি শট নেয় ইকুয়েডর, এর দু’টি ছিল লক্ষ্যে। মার্তিনেজের দৃঢ়তায় একবার রক্ষা পায় তারা। বিবর্ণ পারফরম্যান্সের মাঝেই ৩১তম মিনিটে বড় ধাক্কাটা খায় আর্জেন্টিনা।
পাল্টা আক্রমণে সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান এনের ভালেন্সিয়া, তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ৩৭ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ওতামেন্দি।
বার বার ফাউলের ঘটনায় খেলার ছন্দ বিঘ্নিত হচ্ছিল। বিরতির আগের যোগ করা সময়ে তেমনি এক ঘটনায় এগিয়ে যায় ইকুয়েডর। ডি-বক্সে লাফিয়ে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে আঘাত করে বসেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
দু’জনের মাথায় সংঘর্ষ হয় এবং মাটিতে অনেক্ষণ পড়ে ছিলেন প্রেসাইদো। ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি এবং সোজাসুজি নেয়া স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন ভালেন্সিয়া। শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে স্বাগতিক দলও ১০ জনে নেমে আসে। নিকোলাস গনসালেসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার মোইসেস কাইসেদো।
এরপর ইকুয়েডরের আক্রমণেও ধার কমে যায়। কিন্তু সেই সুযোগ নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে গোলের জন্য আটটি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা।
তবে এই হারে কোনো সমস্যা হচ্ছে না ইকুয়েডরের। ১৮ ম্যাচে ১২ জয় ও ২ ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে বাছাই শেষ করল আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের পয়েন্ট ২৯।