অলিম্পিক গোল কী, নামকরণের ইতিহাস কেমন?

অলিম্পিক গোল কী, নামকরণের ইতিহাস কেমন?

অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে ‘অলিম্পিক’ গোল করে আলোচনায় উঠে এসেছেন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার শান্তি মারডি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে কর্নার থেকে সরাসরি বল জালে জড়ান তিনি। এরপর অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, অলিম্পিক গোল আসলে কি বা এর নামকরণের পেছনের ইতিহাস কেমন?

মূলত কর্নার থেকে শট নেয়ার পর সেটি আর কোনো ফুটবলারকে স্পর্শ না করে বল সরাসরি জালে জড়ালে তাকেই অলিম্পিক গোল বলে। ফুটবলের অন্যতম দুর্লভ, কঠিন ও চমক জাগানিয়া গোল এটি। এই গোলের নামকরণের পেছনে আছে মজার এক ইতিহাস।

১৯২৪ সালে অনুষ্ঠিত প্যারিস অলিম্পিকে ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উরুগুয়ে। এর মাসখানেক পর দুটি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল তারা। অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় ম্যাচটি বুয়েন্স এইরেসের স্পোর্তিভো বারাকাস স্টেডিয়ামে গড়িয়েছিল।

সেই ম্যাচের প্রথমার্ধের ১৫তম মিনিটে আর্জেন্টিনার সেজারিও অনজারি কর্নার কিক থেকে সরাসরি গোল করেন। দুই দলের ফুটবলাররা থেকে শুরু করে গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শক, পুরো স্টেডিয়ামই তখন এমন গোল দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন। সেটাই ছিল ইতিহাসের প্রথম অলিম্পিক গোল।

তখনকার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে হওয়ায় সাংবাদিকরা স্প্যানিশ ভাষায় গোলটির নাম দেন গোল অলিম্পিকো। ইংরেজিতে যা দাঁড়ায় অলিম্পিক গোল। ম্যাচটি আর্জেন্টিনা ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। তখন থেকেই এমন গোলকে অলিম্পিক গোল বলে।

শান্তির অলিম্পিক গোলের ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এই জয়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের খেলার স্বপ্ন উজ্জ্বল হয়েছে। আগামী রোববার শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ এই গ্রুপের ফেভারিট দল দক্ষিণ কোরিয়া।

এএল