আবারো ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের কাছে ধরাশায়ী সিটি
ম্যানচেস্টার সিটির কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে টটেনহাম। বার বার দলটির কাছে হোঁটচ খাচ্ছে পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। গত মৌসুমের মতো নতুন মৌসুমেও তার ব্যতিক্রম হলো না।
সিটির মাঠ ইতিহাদে গিয়ে ২-০ গোলে জিতে আসা যেনতেন কথা নয়। প্রিমিয়ার লিগে আজ ঠিক এই ব্যবধানেই সিটিকে হারিয়েছে টটেনহাম। এর আগে, গত মৌসুমেও ইতিহাদে সিটিকে ৪-০ গোলে হারায় তারা।
সব মিলিয়ে শেষ চার ম্যাচে সিটির বিপক্ষে টটেনহ্যামের এটা তৃতীয় জয়। অন্যদিকে সিটিকে হারিয়ে দলটা উঠে এসেছে লিগ টেবিলের শীর্ষে। ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট তাদের। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে চেলসি।
ম্যাচের শুরুটাই প্রত্যাশিত হয়নি ম্যানচেস্টার সিটির। ২ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন দলটিতে নতুন যোগ দেয়া ডিফেন্ডার রায়ান আইত-নুরি। তার বদলি নামেন নাথান আকে।
তবে সিটির ওমর মার্মাউশ ছিলেন দারুণ উজ্জ্বল। প্রথম ৩০ মিনিটে গোলের জন্য যে চারটি শট নেয় দলটি, তার তিনটিই নেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড। সেরা সুযোগটি তিনি পান ২৮তম মিনিটে, যদিও তা আটকে দেন গোলরক্ষক ভিকারিও।
তবে এর মাঝেই উল্টো ৩৫ মিনিটে হঠাৎ করেই জনসনের গোলে এগিয়ে যায় অতিথিরা। রিচার্লিসনের ক্রসে জনসনের শট জড়ায় জেমস ট্রাফোর্ডের জালে। অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি দারুণ কিছু করে।
উল্টো বিরতির আগে সিটির দ্বিতীয় গোল হজমের পুরো দায়ও গোলরক্ষক জেমস ট্র্যাফোর্ডের। ডি-বক্সে একাধিক খেলোয়াড় থাকার পরও আলতু পাস দিতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন।
বল চলে রিচার্লিসনের কাছে। তবে তার শট ঠেকালেও ফিরতি বলে পালহিনহার শট ঠেকানোর উপায় ছিল না ট্রাফোর্ডের। ২-০ তে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। যদিও এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে গেছে সিটি।
অতিরিক্ত সময়ে সিটির হয়ে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পান আর্লিং হলান্ড। কিন্তু নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের হেড চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ফলে মৌসুমে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সিটিকে।