জামালদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার

জামালদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার

নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জামাল ভূঁইয়াদের দেশে ফেরার কথা ছিল। তবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে ফ্লাইট। নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

সোমবার শুরু আন্দোলনের তোপে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। এতে বাংলাদেশ দলও আটকা পড়েন। বর্তমানে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ বর্তমানে টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।

মঙ্গলবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবতনে সরকারের প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’

‘নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে, দলের নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’

‘এছাড়া দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং টিম ম্যানেজার আমের খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে দলের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রদান করেছেন তিনি।