নেপালে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বো চিন্তাও করিনি ----------------জামাল ভূঁইয়া

নেপালে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বো চিন্তাও করিনি ----------------জামাল ভূঁইয়া

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এখন উত্তাল। সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে স্থানীয়রা। চলছে কারফিউ। এরই মধ্যে ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে এসে বাংলাদেশ দল নেপালের রাজধানীর হোটেলেই আটকা পড়েছে। চেষ্টা করেও ফ্লাইট ধরতে পারেনি। কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা না দেয়ায় হোটেলও ছাড়া যায়নি। খেলোয়াড়রা অধিকাংশ নিজের রুমে অবস্থান করছেন। তাদের রুম থেকে দূরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জামাল ভূঁইয়ারা ভীষণ উদ্বিগ্ন। দেশের বাইরে হোটেলে আটকা থেকে এমন ভয়ার্ত পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা আগে হয়নি তাদের।

অথচ মঙ্গলবার সকালেই দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তারা। লাগেজ গুছিয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। নিরাপত্তার ইস্যুটাই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এমন পরিস্থিতি দেখে বলেছেন, ‘এখানে অদ্ভুত অবস্থা। আগে কখনও এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়িনি।’

হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ তো রয়েছেই। অনেকে আবার হোটেলের ভেতরেও ঢোকার চেষ্টা করেছে সরকারপন্থী লোকজন খুঁজতে। জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সুমন রেজা নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে জানালেন, ‘টিম হোটেলের সামনে আন্দোলনকারীরা এসে গেট ভাংচুরের চেষ্টা করে। ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের ধারণা ছিল সরকারপন্থীরা এই হোটেলে লুকিয়ে আছে। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ নানাভাবে বোঝালে তারা হোটেল ছেড়ে চলে যায়। এখনও থমথমে অবস্থা।’হোটেলের রুমে গিয়ে সুমন আরও বললেন, ‘এখানকার অবস্থা বেশ খারাপ। ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, আমরা বের হতে পারছি না। রুমে বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়েছে। আসলে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বো চিন্তাতে আসেনি।’

জাতীয় দলের নতুন সদস্য ডিফেন্ডার আব্দুল্লাহ ওমর। দলে জায়গা পেলেও এই যাত্রায় তার অভিষেক হয়নি। আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে খেলার, সেটাও ভেস্তে গেছে। কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলে খেলতে এসে অন্যরকম পরিস্থিতি দেখতে হচ্ছে। কখন দেশে ফিরতে পারবো জানি না। দেশ থেকে ফোন আসছে- নিরাপদে আছি কিনা, কবে ফিরতে পারবো, জানতে চাইছে। আশা করছি, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমরা দ্রুত দেশে ফিরতে পারবো।’