জেড স্পেন্স,Eddie Keogh - The FA,

প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে হ্যারি কেনদের সতীর্থ? ইতিহাস গড়ার মুখে জেড স্পেন্স

ইউরোপের বিভিন্ন ঘরোয়া ফুটবল লিগে শুরু হয়ে গিয়েছে খেলা। ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে প্রিমিয়ার লিগ থেকে লা লিগা। এ বার আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের হয়ে নামবেন তারকা ফুটবলাররা। ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের জন্য বাছাই পর্বের ম্যাচে অংশ নেবে দেশগুলি। অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়ার বিরুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামবে ইংল্যান্ড। ইউরোপ থেকে এখনও কোনও দল যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি মূলপর্বে।

তবে এই ম্যাচের আগে চর্চায় জেড স্পেন্স। ২৫ বছর বয়সি এই তরুণ ফুটবলার জায়গা পেতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশে। প্রথম কোনও পুরুষ মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ তাঁর সামনে।

কেন চর্চায় জেড স্পেন্স?

টটেনহ্যামের হয়ে সম্প্রতি নজর কেড়েছেন এই তরুণ লেফট-ব্যাক। তাই থমাস তুচেল জাতীয় শিবিরে ডেকেছেন তাঁকে। এর আগে কোনও মুসলিম পুরুষ ফুটবলার খেলেননি ইংল্যান্ডের সিনিয়র ফুটবল টিমের হয়ে। তাই নজির গড়ার মুখে দাঁড়িয়ে স্পেন্স। এই নিয়ে স্পেন্স বলেন, ‘এই ডাক পাওয়া আমার কাছে প্রত্যাশিত ছিল। তবে স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলে ডাক পেয়ে অবাক হয়েছিলাম।’

A post shared by Tottenham Hotspur (@spursofficial)

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জেড স্পেন্স বেশি পরিচিত ঈশ্বরের উপরে তাঁর অগাধ বিশ্বাসের জন্য। এই নিয়ে একাধিক পোস্টও করেন তিনি। তাই প্রথম মুসলিম হিসেবে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি ঈশ্বরকে।

A post shared by Djed Spence (@djedspence)

তিনি বলেন, ‘প্রথমেই বলতে চাই আমি প্রচুর প্রার্থনা করি এবং কৃতজ্ঞ ঈশ্বরের কাছে। খারাপ সময়েও আমি বিশ্বাস হারাইনি ঈশ্বরের উপরে। তাই জিতলেও আমি ঈশ্বরে প্রচার করি। সবটাই বিশ্বাস থেকে।’ তবে শুধু মুসলিম নয়, যে কোনও ধর্মের ফুটবলাররাই নিজেদের উপরে বিশ্বাস রাখলে সফল হবেন, তাও জানান স্পেন্স।

শনিবার ভিলা পার্কে অ্যান্ডোরার বিরুদ্ধে ও আগামী মঙ্গলবার সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বেলগ্রেডে খেলবে ইংল্যান্ড জাতীয় দল। নজরে থাকবেন স্পেন্স।