দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। একদিকে গোল, অন্যদিকে অ্যাসিস্ট, তার ঝলকেই সংখ্যায় পিছিয়ে থেকেও রিয়াল মাদ্রিদ লড়াই জিতে নিল রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে। এক ঘণ্টার বেশি সময় ১০ জন নিয়ে খেলেও লস ব্লাঙ্কোস থামতে দেয়নি নিজেদের, লা লিগায় ২–১ গোলের দুর্দান্ত জয় নিয়েই ফিরল তারা।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই প্রতিপক্ষের ভুল ব্যাকপাস থেকে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে গিয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে মৌসুমের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। তবে ৩০ মিনিটের মাথায় ধাক্কা খায় মাদ্রিদ। নতুন সাইনিং ডিন হুইজসেন সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিকেল ওয়ার্জাবালের গতিপথ রোধ করতে গিয়ে। সংখ্যাগত ঘাটতির পরও হাল ছাড়েনি অতিথিরা।
৩৮ মিনিটে এমবাপে বাম দিক থেকে ভেতরে ঢুকে চমৎকার একটি পাস বাড়ান আরদা গুলারকে। তরুণ তুর্কি মিডফিল্ডার ঠাণ্ডা মাথায় জালে বল পাঠান, মাদ্রিদের লিড হয় ২–০। বিরতির পর সোসিয়েদাদ ম্যাচে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করে। দানি কার্ভাহালের হাত ছুঁয়ে বল গেলে ভিএআরের সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে গোল করেন ওয়ার্জাবাল। তবে তাতেই সীমাবদ্ধ থাকে তাদের প্রতিরোধ।
ম্যাচ শেষে এমবাপের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, 'লাল কার্ডে ম্যাচটা বদলে গিয়েছিল, তবে আমরা ভয় পাইনি। দ্বিতীয় গোল করেছি, কষ্ট করেছি একসাথে দল হিসেবে, আর শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই ফিরছি। শুরুরটা দুর্দান্ত হয়েছে, আমারও তাই। তবে মৌসুম অনেক লম্বা, আমাকে ধারাবাহিক থাকতে হবে।'
এই জয়ে চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে উঠেছে জাবি আলোনসোর রিয়াল মাদ্রিদ। তিন পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাথলেটিক বিলবাও, যারা আলাভেসের কাছে ১–০ গোলে হেরে শুরুটা দারুণ করতে পারেনি।
অন্যদিকে, মৌসুমের প্রথম জয় পেয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। নিজেদের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ২–০ গোলে হারিয়েছে দিয়েগো সিমিওনের দল। গোল করেছেন পাবলো বারিওস ও নতুন তারকা নিকো গনসালেস। তবে জুলিয়ান আলভারেজ, রবিন লে নরমান ও ডেভিড হানকো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, যা চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।