‘ছাত্রের’ মৃত্যুতে অঝোরে কাঁদলেন মরিনিয়ো

‘ছাত্রের’ মৃত্যুতে অঝোরে কাঁদলেন মরিনিয়ো

প্রয়াত পর্তুগিজ তারকা ও সাবেক পোর্তো অধিনায়ক জর্জ কস্তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার সাবেক গুরু জোসে মরিনিয়ো। বিষয়টা প্রকাশ পেল সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে তার সাবেক ‘ছাত্রের’ প্রসঙ্গ উঠতেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি, কেঁদেছেন অঝোরে।

পোর্তোর হয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর খেলার পর ২০০৬ সালে অবসরে যান কস্তা। ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি চার্লটন ও স্ট্যান্ডার্ড লিয়েজের হয়েও খেলেছেন। দেশের হয়ে ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৭ সালে তিনি কোচিং শুরু করেন। বেশিরভাগ সময়ই তিনি কাজ করেছেন পর্তুগালে। গত গ্রীষ্মে তিনি আন্দ্রে ভিয়াস–বোয়াসের অধীনে ফেরেন পোর্তো ক্লাবে, পরিচালক হিসেবে। মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কস্তা মারা যান।

এই খবরে শোকাহত মরিনিয়ো বলেন, ‘ও আমার ইতিহাসের অংশ। আমার জীবনের একটা অধ্যায় শেষ হয়ে গেল।’ মরিনিয়ো পোর্তোকে নিয়ে ২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন কস্তা।

তিনি আরও বলেন, ‘ও শুধু ক্যাপ্টেন ছিল না। ও ছিল একজন প্রকৃত নেতা। সব ক্যাপ্টেন নেতা হয় না। আর্মব্যান্ড নয়, তুমি কী প্রতিনিধিত্ব করো, সেটাই আসল। আমি বলতাম, ও ছিল সেই মানুষ, যে ড্রেসিংরুম পরিষ্কার রাখত, যেন কোচ হিসেবে আমি আমার কাজ করতে পারি, নেতা হিসেবে নয়।’

ফেনারবাচের কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ালিফায়ারে ফেয়েনোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে মরিনিয়ো বলেন, ‘এই মুহূর্তে ফুটবল নিয়ে ভাবতে ইচ্ছা করছে না। আমি শুধু ভাবছি জর্জের কথা, ওর ছেলেদের কথা। আমি ওদের ছোটবেলায় চিনতাম, এখন ওরা বড় হয়েছে।’

মরিনিয়ো আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমি খুব কষ্টে আছি। কিন্তু জর্জ বেঁচে থাকলে বলত, ‘চলো, প্রেস কনফারেন্সটা শেষ করো। আর কাল ম্যাচটা খেলো।’ বলত, ‘আগে খেলাটা জেতো মিস্টার, আমাকে ভুলে যাও।’ তাই আজ আর কাল আমি আমার কাজ করব। এরপর কাঁদব। কিন্তু এখন আমার দায়িত্ব পালনের সময়।’

জর্জ কস্তার শেষকৃত্যে অংশ নিতে মরিনিয়োর সাবেক শিষ্য ও বর্তমান বার্সেলোনা ফুটবল পরিচালক ডেকো ফিরে গেছেন পর্তুগালে। ডেকো নিজেও একসময় কস্তার সঙ্গে ও মরিনিয়োর অধীনে খেলেছেন পোর্তোতে।