ইতিহাস গড়তে কানাডার ক্লাবের হয়ে মেসিদের লিগে মুলার

ইতিহাস গড়তে কানাডার ক্লাবের হয়ে মেসিদের লিগে মুলার

বায়ার্ন মিউনিখের সাথে ২৫ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনে কানাডার ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসকে বেছে নিলেন থমাস মুলার। ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, সব জিততে এবং ইতিহাস গড়তেই হোয়াইটক্যাপস তার নতুন ঠিকানা। কানাডার ক্লাব হলেও হোয়াইটক্যাপস খেলে লিওনেল মেসিদের মেজর লিগ সকারে।

মেজর লিগ সকারে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে খেলে হোয়াইটক্যাপস। ক্লাবটি এখনও জানায়নি কত খরচে মুলারকে দলে টানল। শুধু জানা যাচ্ছে এটি হবে দলটির সর্বোচ্চ খরচের মঞ্চ। ৬ মিলিয়ন ইউরোর একটি অঙ্ক আলোচনায় আছে মুলারকে ঘিরে। আগামী সপ্তাহে তিনি ক্লাবটিতে পা রাখবেন।

হোয়াইটক্যাপস ২০২৬ সালে মুলারকে মনোনীত খেলোয়াড় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে। ২০২৫ সালের বাকি সময়টুকু তিনি স্ট্যান্ডার্ড ডিলের তালিকায় থেকে খেলবেন। যে নিয়মে তার বেতন হোয়াইটক্যাপসের বাকি খেলোয়াড়দের সাথে গণনা করা হবে না।

হোয়াইটক্যাপসকে বেছে নিয়ে আশাবাদী মুলার বলেছেন, ‘ভ্যাঙ্কুভারে জিততে এসেছি, ইতাহাস গড়তে এসেছি। দলকে প্রতিটা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন করতে এসেছি এবং সেটা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

হোয়াইটক্যাপস ভক্ত এবং শহরটি নিয়ে মুলারের আগ্রহও ফুটে উঠেছে বার্তায়, ‘ভক্তরা অবশ্যই আমার থেকে আশা রাখবেন যেন একশ শতাংশ দেই। তারা আমার খেলা দেখেছেন এবং জানেন কেমন খেলি। আমার খেলার দক্ষতা ইউটিউব ভিডিও বা বেশ কয়েকটি টিভি শোতে দেখতে পাবেন। আমি এই শহর সম্পর্কেও অনেক শুনেছি।’

মেজর লিগ সকারে ওয়েস্টয়ার্ন কনফারেন্সে ২৪ ম্যাচে ১৩ জয় ৪ ড্র এবং ৫ হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে হোয়াইটক্যাপস।

মুলার দীর্ঘ ২৫ বছর জার্মান জায়ন্ট বায়ার্ন মিউনিখে খেলে এলেন। ২০০০ সালে বায়ার্ন যুব দলে যোগ দিয়ে ২০০৮ সালে সিনিয়র দলে নামেন। বায়ার্নের সাথে ২০১২-১৩ ও ২০১৯-২০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। ১৩ বার বুন্দেসলিগা, দুবার উয়েফা সুপার কাপ, ৬টি জার্মান কাপ, দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ৮টি জার্মান সুপার কাপ জিতেছেন। ২০১০ সালে জার্মানির হয়ে ৫ গোল করে বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতেন এবং ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতেছেন।