কঠোর পরিশ্রমে অনন্য এক ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মতো এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার ঐতিহাসিক সাফল্যের পর এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেল মেয়েরা। ফিফার সর্বশেষ প্রকাশিত নারী দলের র্যাঙ্কিংয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের।
সবশেষ প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮তম স্থান থেকে এক লাফে উঠে এসেছে ১০৪ নম্বরে বাংলাদেশ। পিটার বাটলারের কোচিংয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা নিজেদের বাছাই গ্রুপে তিনটি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বীকৃতি মিলে তাদের। এই মুহূর্তে এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নতির নজির।
বাছাই পর্বে বাহরাইনকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেওয়ার পর শক্তিশালী স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমকে দেয় সবাইকে। এরপর তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি ৭-০ গোলের জয়ে বাছাই পর্বে 'অপ্রতিরোধ্য' দল হিসেবেই নিজেদের তুলে ধরে বাংলার মেয়েরা।
তবে এটিই বাংলাদেশ নারী দলের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং নয়। ২০১৩ সালে একবার ১০০ নম্বরে উঠে এসেছিল তারা। তবু এবারের লাফটি এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে এটি দীর্ঘ সময় আলোচনায় থাকবে নিঃসন্দেহে। সর্বশেষ আপডেটে সবচেয়ে বেশি র্যাঙ্কিং পয়েন্ট অর্জনকারী দলও বাংলাদেশ ৮০.৫১ পয়েন্ট যোগ হয়েছে এই সময়ে।
বিশ্ব নারী ফুটবলে র্যাঙ্কিংয়ে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে ইউরো ২০২৫-এ রানার্সআপ হয়ে স্পেন আবারও ফিরে এসেছে শীর্ষস্থানে। শিরোপাজয়ী ইংল্যান্ড এক ধাপ এগিয়ে এখন চতুর্থ স্থানে। শীর্ষ দশে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি ফ্রান্সের, তারা গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তিনটি ম্যাচেই জয় পায় এবং কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায়। এতকিছুর পরও ফ্রান্স চার ধাপ এগিয়ে এখন ষষ্ঠ স্থানে।
সুইডেনও নিজেদের অবস্থান মজবুত করেছে—তারা কোয়ার্টারে ইংল্যান্ডের কাছে টাইব্রেকারে হেরে তিন ধাপ এগিয়ে এখন তৃতীয় স্থানে। অন্যদিকে, লাতিন আমেরিকায় শীর্ষস্থান ধরে রাখা ব্রাজিল কলম্বিয়াকে হারিয়ে নবমবারের মতো কোপা আমেরিকা ফেমেনিনা জিতলেও র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়েছে তিন ধাপ। ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হার তাদের এই পতনে ভূমিকা রেখেছে।