২০০৪ সালে হোসে মরিনহোর অধীনে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করে এফসি পোর্তো। একই বছর জয় করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপও। যেটা পরে ফিফা ক্লাব কাপের নাম পরিবর্তন হয়।
পর্তুগিজ এই ক্লাবটির অধিনায়ক ছিলেন তখন হোর্হে কস্তা। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পোর্তোর পোস্টারবয় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ছিলেন পর্তুগাল জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার ছিলেন তিনি।
২০০৬ সালে ফুটবল ছাড়ার পর কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয় তার। ২০২৪ সাল পর্যন্ত অসংখ্য ক্লাবের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ছিলেন পোর্তোর ফুটবল ডিরেক্টরও। ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি ৩২টি শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন।
সেই হোর্হে কস্তা ৫ আগস্ট পোর্তোর সিনিয়র ফুটবল দলের অনুশীলন চলাকালে ট্রেনিং গ্রাউন্ডেই হার্ট অ্যাটাক করেন। দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
হোর্হে কস্তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পর্তুগাল ফুটবল অঙ্গনে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো থেকে শুরু করে কোচ হোসে মরিনহো, সবাই শোক জানিয়েছেন কস্তার মৃত্যুতে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন বর্তমানে তুর্কি ক্লাব ফেনারবাখের দায়িত্ব পালন করা হোসে মরিনহো।
তার প্রথম চ্যাম্পিয়ন্সলিগ শিরোপা জয়ের অধিনায়কের মৃত্যু কোচ মরিনহোকে (Jose Mourinho) বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। ফেনারবাখের একটি ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি জানি তুমি এখন কী বলতে পার। যদি পারতে, ‘হে মিস্টার কান্না থামাও, আগামীকাল তোমার একটা ম্যাচ আছে এবং তোমার ছেলেদের তোমাকে প্রস্তুত এবং শক্তিশালী করা দরকার'। আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি বিচো (হোর্হে), আমি এটা করব। দুঃখিত, কারণ তোমার উত্তরাধিকার আমাদের সাথেই থাকবে।’ পোর্তোতে প্রশিক্ষণ সেশনের সময় দুজনের একটি ছবি শেয়ার করে মরিনহো এসব কথা লিখেছেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (Cristiano Ronaldo) মাত্র চারটি শব্দে এই কিংবদন্তিকে বিদায় নাজালেন রোনালতো। তিনি লিখেছেন, ‘Até sempre Jorge Costa (ফেয়ারওয়েল ফরএভার কস্তা)।