বলিভিয়ার মাঠে খেলতে যাওয়া প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য আতঙ্কের নাম। বিশ্বের অন্যতম উঁচু এই দেশটিতে অনেক সময় নাস্তানাবুদ হয়েই ফিরতে হয় দলগুলোকেও। সেই আতঙ্ক নিয়েই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচ খেলতে বলিভিয়ার মাঠ এল আলতো স্টেডিয়ামে গিয়েছিল ব্রাজিল।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪১৫০ মিটার উঁচুতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে নাস্তানাবুদ না হলেও হার নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল। ঘরের মাঠে ব্রাজিলের বিপক্ষে বলিভিয়ার জয় ১-০ গোলে। ব্রাজিলের বিপক্ষে এই জয়ে কখনো বিশ্বকাপ না খেলা বলিভিয়া নিজেদের আশাও বাঁচিয়ে রাখল। আজকের জয়ে ইন্টার-কনফেডারেশন প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বলিভিয়া। ম্যাচ শেষে তাই আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ভেসে উদ্যাপনও করতে দেখা যায় দলটিকে। এখন বলিভিয়া বিশ্বকাপে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে পারে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আজকের ম্যাচের পর ৫ নম্বরে থেকেই বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করল ব্রাজিল। ১৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৮। শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ৩৮। সাতে শেষ করা বলিভিয়ার পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ২০।
বলিভিয়ার মাঠে শুরু থেকেই চাপে ছিল ব্রাজিল। প্রথমার্ধের পুরোটাজুড়ে খেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিকদের দখলে। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসনকে একাধিকবার পরীক্ষাও ফেলে তারা। এদিন আগের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে ভালো খেলা কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়ার প্রভাবও দেখা গেছে ব্রাজিলের খেলায়। এর সঙ্গে উচ্চতাজনিত অস্বস্তি তো ছিলই। সব মিলিয়ে মাঠে একেবারেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেনি ব্রাজিল।
উল্টো চাপের মুখে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বলিভিয়াকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা। বল দখলের লড়াইয়ে বক্সের ভেতর বলিভিয়ার আর. ফার্নান্দেজকে ব্রাজিলের ব্রুনো গিমারেস ফাউল করলে এই পেনাল্টিটি পায় স্বাগতিকরা। শুরুতে অবশ্য রেফারি পেনাল্টি দেননি, কিন্তু ভিএআর যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত বদলান। পেনাল্টিতে গোল করেন মিডফিল্ডার মিগুয়েল তেরকোরেস।
বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্রাজিল। যদিও সফল হচ্ছিল না তারা। এ সময় স্বাগতিক বলিভিয়াও চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়ানোর। কিন্তু তাদের একাধিক আক্রমণও কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এ সময় খেলায় অবশ্য তেমন প্রাণ ছিল না। দুই দলই ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বেশ হিমশিম খাচ্ছিল। ম্যাচের বাকি সময়েও দৃশ্যপট আর না বদলানোয় শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।