পার্থ দত্ত
বারুইপুরের বিশালক্ষ্মীতলার মলয় সেনগুপ্তের ফুটবল কোচ হিসেবে যতটা পরিচিতি বাংলায়, তার চেয়ে তাঁকে বেশি চেনেন মুম্বইয়ের মানুষ। কারণ বেশ কয়েক দশক ধরে আন্ধেরি ফুটবল অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর কাম কোচ হিসেবে কাজ করছেন এই বঙ্গসন্তান।
তিনি দেশের হাতেগোনা কয়েক জন কোচের মধ্যে পড়েন, যাঁদের উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্স ডিগ্রি রয়েছে। মূলত যুব ফুটবল নিয়েই কাজ করতে পছন্দ করেন তিনি। সেটার উন্নয়নের জন্যই নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সারা বছর ধরে বিদেশে ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন রিফ্রেশার কোর্স করার জন্য।
এ বার সেই মলয় বিশাল অঙ্কের অর্থে আল নাসের ক্লাবের সহকারী কোচের প্রস্তাব পেয়েছেন। তবে এই আল নাসের ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্দোর খেলা ক্লাব নয়। রিয়াধের ক্লাবের ম্যানেজমেন্টের পরিচালনায় আবু ধাবিতে যে আল নাসের স্পোর্টস ক্লাব চলে, সেখানকারই প্রস্তাব পেয়ে মলয়ের যাওয়া প্রায় পাকা। আবু ধাবির এই ক্লাব সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রো লিগে খেলে আল ওয়াদা, আল উইন, আল জাজ়িরার মতো ক্লাবের সঙ্গে। এই ক্লাবের কোচ সার্বিয়ার স্লাবিসা জাকানোভিচ।
মলয় বলছিলেন, ‘বহু বছর ধরে আমি যুব টিমের কোচিং করেছি। দেশের বাইরে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডে গিয়েও কাজ করেছি। তবে সিনিয়র কোনও টিমে আগে কাজ করিনি। সিনিয়র টিমে কাজ করার লক্ষ্যেই আমিরশাহির এই ক্লাবে আবেদন করেছিলাম। ওরা আমাকে বেছে নিয়েছে সহকারী কোচ হিসেবে। ৩ বছরের জন্য চুক্তি চূড়ান্তও। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হাতে আসবে ওই দেশে থাকার পারমিট।’
মলয় এক সময় কলকাতায় টালিগঞ্জ অগ্রগামী, মহামেডানের জুনিয়র টিমে কোচিং করতেন। সেখান থেকেই চলে যান মুম্বইয়ে। সেখানে কাজ করেছেন নানা ক্লাবে। আন্ধেরি অ্যাকাডেমির সঙ্গে কয়েক মাস আগে পর্যন্ত প্যারিসের জ়িদান অ্যাকাডেমির গাঁটছড়া ছিল। মলয় একাধিকবার প্যারিসে জ়িদান অ্যাকাডেমি ঘুরেও এসেছেন। সম্প্রতি তিনি সাও পাওলোয় গিয়ে একটি কোর্স করার সময়েই যোগাযোগ হয় আমিরশাহির ক্লাবের সঙ্গে।
প্রথম কোনও বঙ্গসন্তান হিসেবে আমিরশাহির আল নাসেরের ডাগ আউটে মলয়কে দেখা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।