দারুণ ছন্দে আছেন, গোল করছেন অহরহ; এসব আর নতুন কিছু নয় হলান্ডের জন্য। তবে গতরাতে যা করেছেন, তা ছাপিয়ে যাবে সবকিছুকে। এক ম্যাচেই পাঁচটা গোল এসেছে তার পায়ের যাদুতে। তার এমন বিধ্বংসী রূপে বিধ্বস্ত হয়েছে মলদোভা।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৫৪তম দলটিকে ১১-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে নরওয়ে।
র্যাঙ্কিংয়ে ব্যবধান বিস্তর, শক্তিমত্তায় আকাশ-পাতাল ফারাক সবকিছু মিলিয়ে মাঠে নামার আগেই ব্যাকফুটে ছিল। র্যাঙ্কিংয়ের ৩৩ নম্বর দলটি প্রথম মিনিট থেকে আধিপত্য ধরে রাখে একেবারে শেষ পর্যন্ত।
৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে মোট ৩৪টি শট নেয় নরওয়ে, যার ১৮টি ছিল লক্ষে। বিপরীতে মলদোভা দু’টি শট নিলেও একটিও লক্ষে ছিল না। তাদের একমাত্র গোলটিও ছিল আত্মঘাতী।
হলান্ডের পাস ধরে মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন ফেলিক্স হর্ন মাইরা। পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হলান্ড নিজেই। এরপর ৩৬ ও ৪৩ মিনিটেও গোল পান এই ম্যানসিটি তারকা। পেয়ে যান পঞ্চম হ্যাটট্রিক।
মার্টিন ওডেগোর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করলে ৫-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় নরওয়ে।
মলদোভা তখনো জানে না দ্বিতীয়ার্ধে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে।
বিরতির পর সপ্তম মিনিটে হেডে নিজের চতুর্থ এবং ৮৩তম মিনিটে আরেকবার বাঁ পায়ের শটে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন হলান্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৪৫ ম্যাচে হলান্ডের গোল হলো ৪৮টি।
নরওয়ের হয়ে এক ম্যাচে এটাই সর্বোচ্চ গোলসংখ্যা। পাশাপাশি এ নিয়ে টানা আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচেও গোল করলেন হলান্ড। এই আট ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ১৪।
এর আগেই শো শুরু হয়ে যায় আসগার্ডের ৬৪তম মিনিটে বদলি নামার তিন মিনিটের মধ্যে জালে বল পাঠান তিনি। এরপর ৭৬ ও ৭৯তম মিনিটের গোলে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনিও।
যোগ করা সময়ে তিনিই মলদোভার কফিনে শেষ পেরেকটিও ঠুকে দেন আসগার্ড। মাঝে ৭৪ মিনিটে নরওয়ের হয়ে আত্মঘাতী গোলটি করেছেন লিও অস্টিগার্ড। যা কেবল শুধু ব্যবধান কমায়।
১১-১ গোলে জয় পায় নরওয়ে। তবে ইউরোপে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড জার্মানির। ১৯৬৯ সালে সাইপ্রাসকে ১২-০ গোলে হারিয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি।
এদিকে দুর্দান্ত এই জয়ে ১৯৯৮ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা জোরাল হলো নরওয়ের। এবারের বাছাইয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে তারা।