নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের অনশন শুরু, দাবি ৩ দফা
তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন বিসিএস (নন-ক্যাডার) চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন শুরু করেন ৮ জন চাকরিপ্রার্থী। আজ বুধবার আরও ১০ জন অনশনে যোগ দিয়েছেন।
দাবি তিনটি হলো নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদসহ বিসিএস নন-ক্যাডারের নামে অধিযাচনকৃত পদসমূহ প্রত্যাহার করে পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বন্ধ করা এবং বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে আগের মতো পদ বৃদ্ধি করে অধিকসংখ্যক প্রার্থী সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখা। মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা উপায়ে দাবি জানিয়েও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় তাঁরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
অনশনকারীদের অভিযোগ, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে সরাসরি নিয়োগের তোড়জোড় করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। আন্দোলনকারী শাহ মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন দ্রুত নিয়োগ দিতে। এখন যদি আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাহলে সময় লাগবে দুই বছর। অথচ বিসিএস নন–ক্যাডার থেকে নিলে সময় লাগবে এক মাস। সিন্ডিকেটবাজির কারণে এমনটা হচ্ছে।’
অপর একজন আন্দোলনকারী মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কাফনের কাপড় নিয়েই এসেছি। আমারা আলোচনা করেছি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি, কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। তাই অনশন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। শুধু ৪৪ বিসিএস না, ৪৩ এবং অন্যান্য বিসিএস নন–ক্যাডাররাও আমাদের সাথে যোগ দেবেন।’
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করলে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জানান, নন–ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা সংশোধনের এখতিয়ার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের, এখানে পিএসসির কিছু করার নেই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিকে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নন–ক্যাডারের পরিবর্তে সরাসরি নিয়োগের ব্যাপারে জানার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।